আশ্চর্য! মাত্র ৭ বছর বয়সেই মায়ের জীবন বাঁচাল শিশু, আত্মহত্যা রুখতে কীভাবে সাহায্য করল স্কুলের শিক্ষা !
how 7-year old girls school lesson saved her mother life who attempted suicide

The Truth of Bengal: যখন সন্তানেরা একাকী থাকেন তখন তারা ভয়ঙ্কর ট্রমার মধ্যে থাকতে পারে।তথ্য বলছে,এরকম পরিস্থিতিতে সন্তানদের ক্ষুরধার উপস্থিত বুদ্ধি তাদের রক্ষা করতে পারে।সেরকমই এক নজির মিলল।যেখানে মায়ের কব্জি থেকে রক্তপাত হচ্ছিল সেখানে একটি ৭বছরের মেয়ের উপস্থিত বুদ্ধি তাঁর মায়ের জীবন বাঁচায়।
কী এমন ঘটেছিল যার জন্য আমেদাবাদের বধূ এই আত্মহত্যার চেষ্টা করে ?
বৃহস্পতিবার রাতে যখন ঘরে কেউ ছিল না তখন আচমকা কব্জি কেটে আত্মহত্যা করতে চান এক গৃহবধূ।সেসময় তাঁর সন্তান ছাড়া বাড়িতে আর কেউ ছিলেন না।
সম্ভবতঃ ঘরোয়া বিবাদেই বধূ এই চরম সিদ্ধান্ত নিতে যান।সেসময় মায়ের হাত থেকে লাগাতার রক্তপাত হতে দেখে ছোট্ট নাবালিকা মেয়েটি। টেনশনের থেকেও নিজের বুদ্ধি কাজে লাগায় সে। তড়িঘড়ি ১০৮ নম্বরে কল করে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে নেয় মেয়েটি। এই অ্যাম্বুলেন্স কল করার শিক্ষা সে স্কুল থেকে পায়।জরুরি পরিস্থিতিতে জীবন বাঁচাতে অ্যাম্বুলেন্সই যে ভরসা সেকথা সে মর্মে মর্মে বুঝতে পারে।তাই সময়ের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্সকে ডেকে পাঠায় সে। অভিযান ১৮১-র আধিকারিকরা ওই ছোট্ট মেয়েটির কাজে জানতে পারে যে আসলে তার বাড়িতে কোনও বিপদ হয়েছে,তার মায়ের ক্রমাগত রক্তপাত হচ্ছে কব্জি থেকে। তাতেই জীবন রক্ষার পথ খুঁজে পায় মেয়েটি।সময়ে অ্যাম্বুলেন্স আসায় আত্মহত্যার পথে এগিয়ে যাওয়া আমেদাবাদের বধূর জীবন বেঁচে যায়।
কেন এই চরম সিদ্ধান্ত নিতে চান বধূ ?
আসলে বধূর স্বামী দীর্ঘদিন সংশোধনাগারে ছিলেন। তিনি জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই ঘরে অশান্তি শুরু করেন।সেই কলহে কাহিল হয়ে পড়েন শান্তিপ্রিয় গৃহবধূ।নাজেহাল হয়েই এই নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে চান বলে জানা গেছে। এই অবস্থায় বাবা –মায়ের ঝগড়ার মাঝে পড়ে জীবন ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে ছোট্টা মেয়েটির।কিন্তু মায়ের কব্জি কেটে প্রাণঘাতী হওয়ার চরম সিদ্ধান্ত দেখে সে যেভাবে উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগায় তা সবমহলের কাছে তারিফ কুড়োচ্ছে।স্কুলের অ্যাম্বুলেন্স কল করার পাঠ থেকে শিক্ষা নিয়ে সে যেভাবে তার মায়ের জীবন বাঁচাল তা অন্যদের কাছে শিক্ষনীয় হয়ে উঠেছে বলা যায়।