উত্তর প্রদেশে হারের ময়না তদন্ত, রিপোর্ট গেল শীর্ষ নেতাদের কাছে
Har's post-mortem in Uttar Pradesh, report sent to top leaders

The Truth of Bengal: বিজেপিকে ভয় ধরাচ্ছে উত্তর প্রদেশের ফল। সদ্য হয়ে যাওয়া লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের দখলে থাকা রাজ্যে খব খারাপ ফল করেছে বিজেপি। ২০১৯-এ রাজ্যের ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে এনডিএ জিতেছিল ৬৪টিতে। আর এবার আসন সংখ্যা নেমে এসেছে ৩৬-এ। বিজেপি একা পেয়েছে ৩৩টি আসন। ২০১৯ সালে এই রাজ্যে বিজেপি পেয়েছিল ৬২টি আসন। নিজেদের শক্ত গড়ে এমন ফল হওয়ায় বিজেপির অন্দরে কাটাছেঁড়া চলছে। চলছে ময়না তদন্ত। লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ চিহ্নিত করেছেন রাজ্য নেতারা। সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে শীর্ষ নেতাদের কাছে। উত্তর প্রদেশে বিজেপির খারাপ ফলের পেছনে আপাতত ৬টি কারণ চিহ্নিত করছেন রাজ্য নেতারা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিধায়কদের হাতে সেই অর্থে ক্ষমতা নেই। প্রশাসনিক আধিকারিকরা সব করছেন। দলীয় কর্মীরা উপযুক্ত সম্মান পাচ্ছেন না।
রাজ্যে পরপর হওয়া প্রশ্নফাঁসের বিষয়টিও রিপোর্টে উঠে এসেছে। তিন বছরেই অন্তত ১৫টি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। যা লোকসভা ভোটে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। কুড়মি এবং মৌর্য সম্প্রদায়ের সমর্থন সরেছে বিজেপির দিকে থেকে। এবার দলিত ভোটও কম পেয়েছে বিজেপি। সমাজবাদী পার্টি তো আছেই, কংগ্রেসের অবস্থার উন্নতি হয়েছে রাজ্যে। যাতে সামগ্রিক ভাবে বিজেপির ফল খারাপ হয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের খারাপ ফল নিয়ে এখন রাজ্য বিজেপিতে অসন্তোষ তুঙ্গে। সম্মুখসমরে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য। মৌর্য শিবিরের তরফে বলা হচ্ছে, লোকসভা নির্বাচনে দলের খারাপ ফলের জন্য যোগীর শাসন দায়ী। যোগীর কুশাসনের মাসুল দিতে হয়েছে বিজেপিকে। বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করে নিজের অসন্তোষ জানিয়েছেন কেশবপ্রসাদ মৌর্য। উত্তর প্রদেশে খারাপ ফলের জন্য রাজ্যস্তরের অনেক নেতা পদ থেকে সরে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত ডামাডোল চলছে বিজেপিতে। পরের বিধানসভা ভোটে রাজ্যের শাসক ক্ষমতা ধরে রাখাই এখন চ্যালেঞ্জ গেরুয়া শিবিরের কাছে।