Constitution Day: ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর প্রথমবার কাশ্মীরি ভাষায় সংবিধানের ডিজিটাল কপি প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপতি মুর্মু
ডিজিটাল সংস্করণ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, আমাদের সংবিধান সমানাধিকারের মূল ভাবনাকে ধারণ করে।
Truth of Bengal: সংবিধান দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের বড় পদক্ষেপ। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর প্রথমবার কাশ্মীরি ভাষায় সংবিধানের ডিজিটাল সংস্করণ প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। পাশাপাশি আরও আটটি ভারতীয় ভাষায় মালয়ালম, মারাঠি, নেপালি, পাঞ্জাবি, বোড়ো, তেলুগু, ওড়িয়া এবং অসমিয়ায় সংবিধানের নয়া ডিজিটাল কপি প্রকাশিত হয়েছে। মোট ৯টি ভাষায় এই সংস্করণ উদ্বোধন করা হয় সংসদের সেন্ট্রাল হলে আয়োজিত সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে।
ডিজিটাল সংস্করণ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, আমাদের সংবিধান সমানাধিকারের মূল ভাবনাকে ধারণ করে। সেই নীতিকে মাথায় রেখেই তিন তালাকের মতো কুপ্রথা রদ করা হয়েছে। এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের জন্য আমি সকল সাংসদকে ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে দেশের রাজনৈতিক সংহতির পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন তিনি। রাষ্ট্রপতি আরও জানান, ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর আজকের দিনেই স্বাধীন ভারতের সংবিধান তৈরির কাজ সম্পন্ন হয় এবং সংসদের সেন্ট্রাল হলে তা পেশ করা হয়। সংবিধান আমাদের গণতন্ত্রকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়েছে। এটি সমাজে ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা, সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের আদর্শকে প্রতিষ্ঠা করে। তাঁর কথায়, এই আদর্শই শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ভারতকে তার আত্মপরিচয় দিয়েছে।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উপরাষ্ট্রপতি সিপি রাধাকৃষ্ণণ, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, মল্লিকার্জুন খাড়গে ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি-সহ বিরোধী দলের দুই কক্ষের নেতারা। সবাই মিলে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করেন।এদিন রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে সাম্প্রতিক সময়ে দেশের উন্নয়নমূলক উদ্যোগগুলিও উল্লেখ করেন। তিন তালাক নিষিদ্ধ করা, জিএসটি চালু করা, ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার, এবং নারি শক্তি বন্ধন আইন—এগুলিকে তিনি ভারতের অগ্রগতির মাইলফলক হিসেবে আখ্যা দেন। তাঁর মতে, আমাদের সংবিধান এমন পরিবেশ তৈরি করে যেখানে প্রত্যেক নাগরিকের উন্নতি সম্ভব হয় এবং সমাজের প্রতি তাঁদের দায়বদ্ধতা আরও দৃঢ় হয়। সংবিধান দিবসের ৭৫তম বর্ষে এই উদ্যোগকে ভারতীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল।






