
The Truth of Bengal: আজ ২৫ ডিসেম্বর, খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে নানা আনুষ্ঠানিকতায় এই উৎসব উদযাপিত হচ্ছে। বাংলাদেশেও বড়দিন যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালিত হচ্ছে। সারা দেশে গির্জায় গির্জায় প্রার্থনায় মঙ্গল কামনা করা হচ্ছে। কলকাতায় বড়দিন উপলক্ষে পার্কস্ট্রিট এলাকা সাজিয়ে তোলা হয়েছে। আলোয় সেজে ওঠেছে বো-ব্যারাক। কলকাতা এবং তার সংলগ্ন এলাকার চার্চে ভিড় করছেন রাজ্যবাসী। রীতি অনুযায়ী দিনের প্রথম প্রহরে বড়দিনের মূল আয়োজনের সূচনা হয় যিশুর জন্মস্থান বেথলেহেমে। নেটিভিটি চার্চে ল্যাটিন ধর্মগুরু পিয়েরবাতিস্তা পিজ্জাবেলার নেতৃত্বে হয় বিশেষ প্রার্থনা। ভ্যাটিক্যান প্রাঙ্গণে ক্রিসমাসের বড় আয়োজন ছিল সেইন্ট পিটার্স ব্যসিলিকায়। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রার্থনা শুরু করেন খ্রিষ্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু পোপ ফ্রান্সিস।
এর আগে সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে পোপের ধর্মীয় আয়োজনে যোগ দেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ। যুদ্ধ শেষ ও বিশ্ব শান্তি কামনা করেন পোপ। এছাড়াও ইউরোপ আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রিসমাস উদযাপনে চলছে নানা আয়োজন। ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’। এই ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট ২৫ ডিসেম্বর বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে ‘শুভ বড়দিন’ হিসেবে উদযাপন করে থাকেন। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারের মাধ্যমে মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতেই প্রভু যিশুর পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীসহ সকলের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, “ধর্মের মূল কথাই হচ্ছে মানুষ হিসেবে মানুষের সেবা করা। সব ধর্মই মানুষের কল্যাণের কথা বলে। তাই ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকলকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। সকল শ্রেণি-পেশার জনগণের উন্নয়নই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা সকল সম্প্রদায়ের মানুষের মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ জীবনযাপন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি।”