দেশ

৫০০ টাকার জাল নোট বাজারে! সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি জারি কেন্দ্রের

Centre issues notification warning of fake Rs 500 notes in the market

Truth Of Bengal: বাজারে ঘুরছে ৫০০ টাকার জাল নোট। তবে আসল-নকল ফারাক করা খুব কঠিন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। জাল নোট সম্পর্কে এই সতর্কবার্তাটি সেবি, ডিআরআই, সিবিআই এবং এনআইএ সহ বেশ কয়েকটি সংস্থার কাছেও পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, জাল নোটগুলির মুদ্রন ও গুণমান, উভয়েরই আসল নোটের সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে। এটি অনেকাংশেই আসল নোটের অনুরূপ। সেই কারণেই আসল ও নকলের মধ্যে পার্থক্য করে উঠতে পারা কঠিন হয়ে উঠছে। এর ফলে এজেন্সিগুলিও জাল নোট শনাক্ত করার ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হয়ে পড়ছে।

জাল নোটগুলির কালির রঙ, অক্ষরের আকৃতির দিক থেকে আসল নোটের সঙ্গে অনেক মিল আছে। এই নোটগুলির সঙ্গে আসল নোটগুলির একমাত্র পার্থক্য রয়েছে ‘Reserve Bank of India’ বানানে। জাল নোটগুলিতে ‘রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’ বানানে ‘e’–এর পরিবর্তে ‘a’ লেখা রয়েছে। জাল নোটগুলিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার বানান রয়েছে ‘Resarve Bank of India’। বানানে এই ভুলটিই স্পষ্ট ইঙ্গিত করে যে নোটটি জাল ও সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। তাই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অর্থের লেনদেনের সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে বলা হয়েছে, তাঁরাও যেন এই বিষয়ে সতর্ক থাকেন। এবং কোনওরকম সন্দেহজনক নোট পেলে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

কয়েক বছর আগেই বাজারে নতুন ৫০০ ও ২০০০ টাকার নোট নিয়ে আসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। আগে পাওয়া যেত ১০০০ টাকার নোটও। কিন্তু, বর্তমানে ১০০০ ও ২০০০ এই দুটি নোটেরই ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যঙ্কটি। বাজার থেকে ধীরে ধীরে সমস্ত ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়া হয়েছে। ফলে, বর্তমানে ভারতীয় মুদ্রায় সবচেয়ে বড় নোটটি হল ৫০০ টাকার। কিন্তু, সম্প্রতি এই ৫০০ টাকার নোট ঘিরেই তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। বাজারে আগমন ঘটেছে নতুন ৫০০ টাকার জাল নোটের। সম্প্রতি এই বিষয়ে নাগরিকদের সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

বাজারের জাল নোটের রমরমা কমাতে ২০১৬ সালে একদিন আচমকাই ‘নোটবন্দি’ করে কেন্দ্রের সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছিলেন, ‘নোটবন্দি’র ফলে কালো টাকা উদ্ধারের পাশাপাশি জাল নোট ও দুর্নীতি রোখা অনেকটাই সম্ভব হবে। পরে দেখা যায় চালু থাকা সব নোট প্রায় ফিরে এসেছে ব্যাঙ্কে। ‘নোটবন্দি’র পর যে বিশেষ নোট চালু করা হয়েছে তার স্বপক্ষে কেন্দ্রের তরফে যুক্তি দিয়ে বলা হয়েছিল, বিশেষ গুণগত মানের এই নোটের নকল করা কঠিন। কিন্তু দেখা যায়, কিছু দিনের মধ্যে বাজারে চলে আসে জাল নোট। ৫০০ টাকার কত জাল নোট বাজারে ঘুরছে তা নির্দিষ্ট করে জানায়নি কেন্দ্র। এমন আবহে জাল নোটের বাজারে প্রবেশ ঘিরে সতর্কতা জারি করল কেন্দ্র। আশল ও নকল নোটে কী ফারাক আছে তা জানিয়ে দেওয়া হল। এই নোট ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।