সমাবর্তন অনুষ্ঠানে পরা যাবে না কালো পোশাক! আরজিকর কাণ্ডের মাঝে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নয়া নির্দেশিকা
Black dress can not be worn at the convocation ceremony! Health Ministry's New Guidelines

Truth Of Bengal: কনভোকেশন বা সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মেডিকেল কলেজের পড়ুয়ারা যে কালো জামা এবং কালো টুপি পরেন তার বিরোধিতা করল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্র থেকে এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে দেশের সমস্ত কেন্দ্র পরিচালিত মেডিকেল কলেজগুলিতে। বিভিন্ন রাজ্যে স্থানীয় সংস্কৃতি অনুযায়ী পোশাক নির্দিষ্ট করার নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের।
এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের পোশাকবিধি বদল করতে হবে। পরা যাবে না চিরাচরিত কালো জামা এবং কালো টুপি। পরিবর্তে নির্দিষ্ট কোন ভারতীয় পোশাক বেছে নিতে হবে এই অনুষ্ঠানের জন্য। ইতিমধ্যেই কেন্দ্র পরিচালিত মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির প্রধানদের এই নির্দেশিকা সম্পর্কিত চিঠি পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে।
It is observed that currently as a matter of practice black robe and cap is being used during convocation by various Institutes of the Ministry. This attire originated in the middle Ages in Europe and was introduced by the British in all their colonies. The above tradition is a… pic.twitter.com/S2hBwsPGdh
— ANI (@ANI) August 23, 2024
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, ডাক্তারি পড়ুয়াদের সমাবর্তনে যে ধরনের পোশাক পরা হয় তা ব্রিটিশ শাসনের সময়কাল মনে করিয়ে দেয়।না কারণ, তৎকালীন সময় থেকে এই রীতি প্ৰচলিত রয়েছে। এই পোশাক পরার রীতিকে ‘মধ্যযুগীয়’ বলেও উল্লেখ করা হয়। যার কারণে পোশাক বদলের এই সিদ্ধান্ত নিলো স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠানগুলিতে পাঠানো চিঠিতে লেখা রয়েছে, ”স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনে থাকা মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠানগুলির সমাবর্তনে পড়ুয়াদের কালো পোশাক এবং কালো টুপি পরার রীতি প্রচলিত রয়েছে। এই পোশাকের উৎস মধ্যযুগের ইউরোপ। ব্রিটিশরা তাঁদের উপনিবেশগুলিতে এই পোশাক চালু করেছিলেন। ফলে এই রীতি ঔপনিবেশিক উত্তরাধিকার বহন করে, যা বদলানো প্রয়োজন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এমস-সহ বিভিন্ন মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠান সমাবর্তন অনুষ্ঠানের জন্য বিশেষ ভারতীয় পোশাকের নকশা তৈরি করবে। বিভিন্ন রাজ্যে সেই পোশাক বিভিন্ন রকম হতে পারে। স্থানীয় সংস্কৃতি অনুযায়ী পোশাক নির্দিষ্ট করা হবে। প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের এবিষয়ে বিবেচনা করে নতুন ধরনের দেশীয় পোশাকের প্রস্তাব স্বাস্থ্য মন্ত্রকে জমা দিতে হবে”।
আরজিকর কাণ্ডে প্রতিবাদের আঁচ যখন রাজ্য ছেড়ে দেশে ছড়িয়ে পড়েছে , তার মাঝেই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্ত বহুল চর্চিত বিভিন্ন মহলে।