
The Truth Of Bengal: বিজেপি সরকার অনুমতি না দেওয়ায় ইম্ফলের বদলে থুবাল থেকে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা শুরু করলেন রাহুল গান্ধী। দেশজোড়া হিংসার বিরুদ্ধে সমালোচনা করার পাশাপাশি মণিপুরের অস্থিরতা নিয়েও বিজেপিকে বেঁধেন তিনি। মোদির সঙ্গে তাঁর ফারাক বোঝাতে রাহুলের বার্তা, নিজের কথা নয়, জনতার কথা শুনতেই তাঁর মানুষের দরবারে আসা।লোকসভার আগে এই জনসংযোগ কর্মসূচি বিজেপির চাপ বাড়াবে বলে বিরোধীদের আশাায়।
ইম্ফল থেকে ভারতজোড়া ন্যায়যাত্রার সূচনা করতে চেয়েছিলেন রাহুল গান্ধী।কিন্তু বিজেপির নেতৃত্বাধীন বীরেন সিং সরকার তাতে অনুমতি না দেওয়ায় থুবাল থেকেই যাত্রা শুরু করেন তিনি। রবিবার থুবালে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের অসহিষ্ণু রাজনীতির বিরুদ্ধে মুখ খোলেন রাহুল গান্ধী।চড়া সুরে আক্রমণ শানিয়ে রাহুলের বাণ, আরএসএস-বিজেপির বিচারধারার চিহ্ন রয়েছে মণিপুরে।যারজন্য জাতি হিংসার মাসুল দিতে হয়েছে উত্তরপূর্বাঞ্চলের মানুষকে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে পদযাত্রার উদ্বোধন করেন। তার পরই মঞ্চে ওঠেন রাহুল। ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র মতো ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ মানুষের কথা শুনতে কেন জনসমাগম তার ব্যাখাও দেন কংগ্রেস সাংসদ।বিজেপির মৌলবাদী রাজনীতির সঙ্গে কংগ্রেস সহ বিরোধীদের কোথায় মৌলিক পার্থক্য তাও ব্যাখা দেন রাহুল।দেশজুড়ে হানাহানি,অসহিষ্ণুতার আবহ দূরে সরিয়ে শান্তিপূর্ণ,ঐক্যবদ্ধ ভারত উপহার দেওয়াই যে নতুন সরকারের প্রথম কাজ হবে তাও স্পষ্ট করেন তিনি।
এবার ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ হচ্ছে পূর্ব থেকে পশ্চিমে। মণিপুর থেকে শুরু ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’, শেষ হবে মুম্বইয়ে। সামনে লোকসভা নির্বাচন।ভোটের আগে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ শেষ করতে বদ্ধপরিকর কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব।বলা যায়, সাম্প্রদায়িক হিংসার জেরে গত বছর খবরের শিরোনামে ছিল মণিপুর। মেইতেই বনাম কুকিদের মধ্যে সংঘর্ষে চার মাসে প্রায় ২০০ মানুষের মৃত্যু হয়। একের পর এক গ্রাম পুড়ে ছাই হয়ে যায়।মণিপুর থেকে দেশের নানা অংশে অস্থির পরিস্থিতির বিরুদ্ধে জনমত গড়তে এই জনসংযোগ কর্মসূচি বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছেন।
Free Access