দেশ

নির্বাচনে পরাজয়ের পরেই লালু-কন্যার সিদ্ধান্তে হইচই, রাজনীতি ও সম্পর্ক উভয় ছেড়লেন

উল্লেখ্য, লালুপ্রসাদের অসুস্থতার সময়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে সিঙ্গাপুরে তাঁকে কিডনি দান করেছিলেন রোহিণী।

Truth Of Bengal: বিহার বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডির ভরাডুবির মাত্র ২৪ ঘণ্টা পরেই বড়সড় সিদ্ধান্ত নিলেন লালুপ্রসাদ যাদবের কন্যা রোহিণী আচার্য। শনিবার নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে জানিয়ে দিলেন, তিনি রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছেন এবং যাদব পরিবারের সঙ্গেও সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করছেন। আরজেডির শোচনীয় পরাজয়ে পর রোহিণীর এই সিদ্ধান্ত জেরে প্রকাশ্যে এল লালু পরিবারের পারিবারিক দ্বন্দ্ব।

সামাজিক মাধ্যমে রোহিণী লেখেন, ‘ আমি রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছি। আমার (যাদব) পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছাড়ছি। সঞ্জয় যাদব ও রামিজ আমাকে এটাই করতে বলেছেন। সব দায় আমি নিজের কাঁধে নিচ্ছি।’ রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, সঞ্জয় যাদব  হলেন তেজস্বী যাদবের ঘনিষ্ঠ সহকারী এবং ‘রামিজ’ বলতে রোহিণীর স্বামী রামিজ আলমকেই বোঝানো হয়েছে।গত কয়েক মাস ধরেই রোহিণীর পাশে যাদব পরিবার নেই—এমন ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল।তিনি আরজেডি, লালু ও তেজস্বীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘আনফলো’ করেছিলেন। তাঁর একাধিক পোস্টে তেজস্বী ও আরজেডির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। তেজপ্রতাপ যাদবের প্রতি বরাবরই বেশি সহানুভূতিশীল ছিলেন রোহিণী।

উল্লেখ্য, লালুপ্রসাদের অসুস্থতার সময়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে সিঙ্গাপুরে তাঁকে কিডনি দান করেছিলেন রোহিণী। ২০২৪ সালে তাঁকে লোকসভার প্রার্থীও করেছিল আরজেডি। যদিও তিনি পরাজিত হয়েছিলেন। এরপরেই লালুকন্যা বলেছিলেন, ‘আমার পদের কোনও মোহ নেই। আত্মসম্মানই আমার কাছে বড়।’ কয়েক মাস আগেই প্রেম-সমস্যাকে কেন্দ্র করে বড় ছেলে তেজপ্রতাপ যাদবকে পরিবার থেকে ‘ত্যাগ’ করেন লালু।এরপর তেজপ্রতাপ নতুন দল গড়ে নির্বাচনে লড়লেও তেমন ফল করতে পারেননি।এই ভাঙনের মধ্যে রোহিণীর ঘোষণা যাদব পরিবারের দ্বন্দ্বকে আরও প্রকট করে দিল।বিহার বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডির আসন ৭৫ থেকে নেমে হয়েছে মাত্র ২৫।তেজস্বীর নেতৃত্ব প্রশ্নের মুখে।এই পরাজয়ের চাপের মধ্যেই রোহিণীর পরিবার ও রাজনীতি ত্যাগের ঘোষণা লালু পরিবারকে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে।