
The Truth of Bengal: নিম্ন আদালতে রায় হয়েছিল মৃত্যুদণ্ডের। মামলা হাইকোর্ট পেরিয়ে, সুপ্রিম কোর্টেও নিম্ন আদালতের রায় বহাল ছিল। তারপর দীর্ঘ আপিলের পর আপিলে নিঠারি হত্যাকাণ্ডের রায় বদলে গেল। এলাহাবাদ হাইকোর্টে তথ্য প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস হলেন নিঠারি হত্যাকাণ্ডের দুই অভিযুক্ত। ২০০৬ সালে দেশ কাঁপানো নিঠারি হত্যাকাণ্ডের রায় বেরোনোর পরেই ফের একবার প্রশ্নের মুখে পড়ল সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে। প্রশ্ন উঠল, কোথাও কি তাহলে ফাঁক রয়ে গিয়েছিল?
২০০৬ সাল, নৃশংস হত্যাকাণ্ডের এক নজির সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে। নিঠারি হত্যাকাণ্ড। স্থানীয়রা অভিযোগ তুলতে থাকে, দু বছর ধরে এলাকা থেকে বেশ কিছু শিশু রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়। স্থানীয় একাংশ সন্দেহ করতে থাকেন, স্থানীয় বাসিন্দা মনিন্দর সিংয়ের বাড়ির পরিচারক সুরিন্দর কোলি এই শিশু নিখোঁজকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে। ২০০৭ সালে পুলিশ তদন্ত শুরু করলে গ্রেফতার করা হয়, বাড়ির মালিক, মনিন্দর সিং পান্ধের এবং তাঁর পরিচারক সুরিন্দর কোলিকে। দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু করা হয়, অপহরণ, মানব অঙ্গপাচার, ধর্ষণ, খুন।
এমনকী নরমাংস ভক্ষনেরও অভিযোগ ওঠে মনিন্দর সিং পান্ধের বিরুদ্ধে। তবে মামলার গতিপ্রকৃতি ঠিক ঠাক না এগনোয় ২০০৭ সালে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। একাধিক অপহরণ ও খুনের মামলায়, তথ্য প্রমাণ জোগাড় একাধিক মামলার চার্জ গঠন করা হয় করে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। মামলাগুলি চলে ২০১২ সাল পর্যন্ত। মোট ছটি মামলায় দু জনকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০১১ সালে শীর্ষ আদালত মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। ২০১৪ সালে কোলির মৃত্যুদণ্ডের মকুবের আবেদন খারিজ করে দেন রাষ্ট্রপতি।
আদালত সূত্রের খবর, এরপরেও রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলাগুলি হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন বেঞ্চে চলতে থাকে। সোমবার এলাহাবাদ হাইকোর্টে এই মামলার প্রেক্ষিতে রায় দেন। কোলির বিরুদ্ধে যতগুলি মামলা চলছিল, সবকটি থেকেই বেকসুর খালাস পান। এবং মনিন্দর সিং পান্ধের বিরুদ্ধে যে ছটি মামলা চলছিল, তারমধ্যে দুটি মামলা থেকে বেকসুর খালাস হলেন।