দেশ

কীটনাশকের গন্ধে মৃত্যু হল ১৪৫ টি বাঁদরের হাথরাসের গুদামে মর্মান্তিক মৃত্যু বাঁদরের দলের

145 monkeys die due to pesticide smell; group of monkeys tragically die in Hathras warehouse

Truth of Bengal: কীটনাশকের বিষাক্ত রাসায়নিক গন্ধে মৃত্যু হয় ১৪৫টি বাঁদরের। উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের এই মর্মান্তিক ঘটনায় চাঞ্চল্য। জানা যায়, খাবারের খোঁজে এফসিআই-এর গুদামে ঢুকেছিল ওই বাঁদরগুলি। সূত্রের খবর, প্রচুর পরিমানে গম মজুত ছিল ওই গুদামে। খাবারের সন্ধানে সেখানে হানা দেয় বাঁদরের দল। গুদামের একটি ভাঙা জানালা দিয়েই ভেতরে প্রবেশ করে ওই বাঁদরের দল।

ওই গুদামেই মজুত থাকা গমে পোকামাকড় না ধরার জন্য গমের বস্তায় স্প্রে করা হয়েছিল কীটনাশক অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড। সেই গন্ধেই প্রাণ হারায় ১৪৫ টি বাঁদর। এই ঘটনার পরই স্থানীয় এক বাসিন্দার তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয় কোতোয়ালি থানায়। পুলিশের কাছে তিনি জানান, এফসিআই গুদামের এক কর্মীর কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন, একদল বাঁদরের গুদামের ভেতরে ঢোকার খবর।

সেইসঙ্গে তাকে গুদামের কর্মী জানিয়েছেন, ওই বাঁদরগুলি ভাঙা জানালা থেকে গুদামের ভেতর প্রবেশ করলেও তারা বাইরে বেরতে পারেনি। মৃত বাঁদরের দলকে গুদাম চত্বরেই কবর খুঁড়ে পুঁতে দেওয়া হয়েছে বলে খবর রয়েছে। সেই খবর জানার পরই কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ জানান ওই বাসিন্দা। শুক্রবারই ওই বাঁদরগুলোর মৃতদেহ মাটি খুঁড়ে বের করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত থেকেই জানা যায়, ওই গুদামে মজুত থাকা গমের বস্তার মধ্যে কীটনাশক স্প্রে করার কারণেই এই ১৪৫টি বাঁদরের মৃত্যু হয়। তবে স্থানীয় ওই বাসিন্দার অভিযোগ, এই সম্পূর্ণ বিষয়টি নিয়েই মুখ খোলেননি গুদাম কর্তৃপক্ষ, সম্পূর্ণ বিষয়টাই তারা চেপে যান। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় তদন্ত শুরু হলেও এখনও গ্রেফতার করা হয়নি কাউকে। একইসঙ্গে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এফসিআই কর্তৃপক্ষও।

Related Articles