স্বাস্থ্য

জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? ওষুধ নয় এই ঘরোয়া পাঁচনে মিলবে রেহাই

Try these home remedies for children suffering from fever, cough and diarrhea

Truth Of Bengal, Barsa Sahoo : বর্তমানে সর্দি-কাশি এবং জ্বরে ভুগছে শিশুরা। জ্বরের মধ্যে মুখে স্বাদ না থাকায় খাবারে একপ্রকার অরুচি চলে এসেছে ভুক্তভোগীদের। মুখে স্বাদ আনতে খুদেকে দিল মসলা খাওয়ালে ব্যাস অমনি শুরু হয়ে যাবে পেট খারাপ। আবার ডাক্তারের কাছে ছুটতে হবে বাবা-মাকে। ডাক্তার দেখিয়ে এখানেই শেষ নয়। ক্ষুদেকে ওষুধ খাওয়াতে নাজেহাল অবস্থা হবে পরিবারের। কোন সময় আবার হাই ডোজের ওষুধ খেয়ে বেসামাল হয়ে পড়ে শিশুরা। এদিকে আবার শক্ত শক্ত ট্যাবলেট, ক্যাপসুল খেতে গিয়ে বমি করে একাকার অবস্থা করে বাচ্চারা। তবে অনেকেই বলেন, সাধারণ জ্বর, পেট খারাপ সামাল দিতে সব সময় ওষুধের প্রয়োজন পড়ে না। কিছু সময় হেঁসেলের সামান্য কিছু উপকরণ দিয়েই এক নিমেষে ছেড়ে যায় রোগ। রান্নাঘরে বেশ কিছু উপকরণ থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে এই ধরনের সমস্যার মোকাবিলা করে। একটু বড় থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক এবং বয়স্ক সবাইকেই এই ঘরোয়া টোটকা দিলে নিমেষের মধ্যে রোগ উধাও হয়ে যায়।

১) জ্বর : বাচ্চা মানে একটু আধটু বৃষ্টিতে ভিজবেই। আর এদিকে বাড়ি ফিরতে না ফিরতেই গায়ে জ্বর। এই পরিস্থিতিতে চট করে ওষুধ না খাইয়ে বাড়িতেই একেবারে ঘরোয়া উপায় বানিয়ে ফেলতে পারে ওষুধ। দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে একটি পাত্রে জল গরম করুন। এরপর ওই গরম জলের মধ্যে গোটা ধনে, কয়েক টুকরো আদা, বেশ খানিকটা দারচিনি যোগ করুন। এরপর ১০ মিনিট এই মিশ্রণটি ফুটতে দিন। জলটি ভালোমতো ফুটলে তার নামিয়ে নিয়ে শিশুকে চায়ের মতো করে খেতে দিন। দেখবেন কিছুক্ষণ পরেই ঘাম দিয়ে জ্বর একেবারেই ছেড়ে যাবে। দরকার পড়লে তিন ঘন্টা বাদে আবারো খাওয়াতে পারে এই পানীয়।

২) কাশি : আজকাল ঘরে ঘরে কাশি লেগেই রয়েছে। দমফাটা কাশিতে নাজেহাল অবস্থা বাচ্চা থেকে বুড়ো সবার। অনেক সময় কাশির সিরাপ খেয়েও কাজ হয় না। এই পরিস্থিতিতে চিন্তা না করে মাত্র আধ চা চামচ গোলমরিচের গুঁড়ো এবং এক চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে শিশুকে খেতে দিন। এই মিশ্রণটি খাওয়ার পর উষ্ণ গরম জল খেলে উপকার হবে। প্রয়োজনে আপনি তিন থেকে চার বার এই মিশ্রণটি বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন।

৩) পেট খারাপ : পেট খারাপ কমাতে গোটা একটা আপেলকে প্রথমে কড়াইতে সেদ্ধ করে নিন। এরপর আধ চামচ ঘি দিয়ে সেদ্ধ আপেলটি ভালো করে নাড়াচাড়া করুন। একটু ঠান্ডা হয়ে গেলে রোগীকে তা খেতে দিন। দেখবেন রেহাই মিলবে।