স্বাস্থ্য

এসির মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে সময় কাটাচ্ছেন? বাসা বাঁধছে কোন কোন রোগ?

Spending hours in AC? What diseases are nesting?

The Truth of Bengal: অফিসে সর্বক্ষণ এসি ঘরে থাকেন। তার জন্য ইদানিং আরও ১ ঘণ্টা এক্সট্রা অফিস করছেন । আবার বাড়িতে এসেও কোন রকমে তাড়াতাড়ি খাওয়া দাওয়া সেরেই চালিয়ে ফেলছেন এসি। এসির টেম্পারেচার রাখছেন ১৮ কিনা ২০ তে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টায় এসি তে কাটাচ্ছেন আপনি। এতে আদেও কি জানেন কত বড় ক্ষতি ডেকে আনছেন নিজের জন্য। হ্যাঁ, যা গরম তাতে তাড়াতাড়ি ঘাম শোকানোর জন্য এসি রুমই একমাত্র ভরসা। দেখে নিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা এসি রুমে থাকলে আপনার কি রোগ হতে পারে।

সর্দি – বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে এসি রুমের তাপমাত্রার আকাশ পাতাল তফাৎ। তাই তো যখন আপনি দৌড়ে দৌড়ে বাইরে থেকে এসে অফিসে ঢুকছেন তার পর সেই ঘাম গুলো শরীরে বসে গিয়ে আপনার সর্দি কাশির মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর এক বার সর্দি কাশি হলে আপনার বুকে কফ জমে গিয়ে তা শ্বাসকষ্টের আকার নিতে পারে। তাই বাইরে থেকে এসেই সরাসরি এসি ঘরে ঢোকা ঠিক নয়।

চোখ জ্বালা – বাইরে বেরলেই চোখ জ্বলছে। আপনার চোখ ক্রমশ ড্রাই হয়ে যাচ্ছে। এই সমস্যার পিছনে এসির পাশাপাশি দায় রোদেরও। এসিতে বেশিক্ষণ থাকলেই আপনার চোখ ধীরে ধীরে শুষ্ক হয়ে উঠবে। সে কারণে আপনার চোখে অস্বস্তি বাড়ার পাশাপাশি দৃষ্টির ক্ষেত্রেও

মাথা ব্যথা – সারাক্ষন এসি ঘরের মধ্যে থাকলেও আপনার মাথা ব্যথার মত নানা সমস্যা হতে পারে। মাইগ্রেনের মত সমস্যাও বাড়তে পারে আপনার।

অ্যালার্জি – অনেকের ধারণা এসির মধ্যে থাকলে কোন জীবাণু নাকি ধারে কাছেও ঘেঁষবে না আপনার। কিন্তু একদম তা ভুল।  বরং ঘর বন্ধ থাকার কারণে ঘরের মধ্যে সৃষ্টি হয় একাধিক জীবাণু।

ডিহাইড্রেশন – গরমে এসির মধ্যে থাকে ঘাম একদম হয়না ফলে জল খাওয়ার পরিমাণ টাও কমে যায় আপনার। যে কারণে শরীর ডিহাইড্রেট হতে পারে। তাই যতটা পারবেন এসি এড়িয়ে চলুন।

Related Articles