তীব্র গরমের প্রতিদিন খাওয়ার পাতে থাকুক টকদই, উপকার পাবেন নিমেষে
Let sour curds be eaten every day in intense heat, you will get benefits immediately

The Truth of Bengal: প্রবল গরমে খাওয়া দাওয়ার ইচ্ছেটুকুই চলে যায়। এ সময় জলশূন্যতা দেখা দেয়। তাই গরমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবশ্যই নিয়মিত খান দই ভাত। বিশেষ করে টক দই দিয়ে তৈরি কার্ড রাইস। কারণ, দইয়ে থাকা ল্যাকটোজ ও প্রোবায়োটিকস হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। বদহজমের সম্ভাবনা দূর হয়।
কেন খাবেন দই ভাত?
১) দই ভাত খেলে ইনস্ট্যান্ট এনার্জি পাওয়া যায়। গরমেও চনমনে থাকা যায়।
২) দই ভাত খেলে মানসিক উদ্বেগ কমে। ভালো ঘুম হয়।
৩) বাড়তি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে দই ভাত।
৪) গরমে দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা হঠাৎ বেড়ে গিয়ে কাহিল হয়ে যান অনেকে। দই ভাত দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৫) দইয়ে প্রোবায়োটিকস থাকে বলে তা পেট ফোলা ভাব কমায়।
৬) দইয়ে ল্যাক্টিক অ্যাসিড থাকে বলে তা প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটরের কাজ করে। ত্বকের মরা কোষ দূর করে। ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে। নিয়মিত দই ভাত খেলে ত্বকের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য ফিরে আসে।
৭) দইয়ে প্রচুর পরিমানে ক্যালশিয়াম আছে যা হাড়কে মজবুত করে।
৮) প্রোবায়োটিক থাকে দইয়ে তাই দই খেলে অন্ত্রে থাকা গুড ব্যাক্টেরিয়ার জোগান ভালো হয়। নিয়মিত দই ভাত খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ দই ভাত খেলে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
৯) গরম হোক কিংবা ঠান্ডা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। দই শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে তাই গরমে অবশ্যই খান দই ভাত।
১০) দই খুবই কম ক্যালরিযুক্ত খাবার। প্রোটিন বেশি পরিমাণে থাকে বলে নিয়মিত দই ভাত খেলে খাইখাই ভাব কমে। বাড়তি ওজন ঝরে। ওজন বৃদ্ধির সহায়ক কর্টিসল হরমোনের নিঃসরণ কমায় দই ভাত।
১১) নিয়মিত দই ভাত খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমে কারণ দইয়ে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম পাওয়া যায়।
১২) ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি থাকে বলে প্রদেহ বা ফোলা ভাব কমায় দই ভাত।
দক্ষিণী স্টাইলে বাড়িতে কীভাবে বানাবেন কার্ড রাইস বা দই ভাত
টাটকা ভাত বানিয়ে নিন। এরসঙ্গে মেশান ঘরে পাতা বা দোকান থেকে আনা টক দই। এরমধ্যে মেশান বিট নুন। ওপর থেকে ছড়িয়ে নিন কারিপাতা ফোড়ন।