কম ঘুমোচ্ছেন ভারতীয়রা, আপনি নেই তো সেই দলে?
Indians are sleeping less than the prescribed 6 hours

The Truth of Bengal,Mou Basu:ঘরে বাইরে সারাদিনের হাড়ভাঙা খাটুনির পর আবালবৃদ্ধবনিতা সকলেই চায় শান্তির ঘুম। কিন্তু অনেকেরই রাতে বিবিধ কারণে টানা ঘুম হয় না। পর্যাপ্ত ঘুমও হয় না। ঘুম ভালো না হলে সকালে ঘুম থেকে উঠেও যেন একরাশ ক্লান্তি ঘিরে ধরে আমাদের। চিকিৎসকদের মতে, যে কোনো প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। কিন্তু সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে ৬১% ভারতীয় কম ঘুমোচ্ছে। নির্ধারিত ৬ ঘণ্টারও কম ঘুমোচ্ছে ভারতীয়রা। LocalCircles নামে একটি সংস্থার করা সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।সমীক্ষায় দেখা গেছে ৬১% ভারতীয় রাতে ৬ ঘণ্টার কম সময় টানা ঘুমোতে পেরেছেন। ৩৮% ভারতীয় জানিয়েছেন তাঁরা রাতে মাত্র ৪-৬ ঘণ্টা টানা ঘুমোতে পেরেছেন। ২৩% ভারতীয় জানিয়েছেন তাঁরা রাতে মাত্র ৪ ঘণ্টা ঘুমোতে পারেন।
২৮% মানুষ জানিয়েছেন তাঁরা রাতে টানা ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমোতে পারেন। মাত্র ৫% মানুষ জানিয়েছেন তাঁরা ১০ ঘণ্টার বেশি সময় ঘুমোতে পারেন। সমীক্ষায় উঠে এসেছে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। তা’হল—করোনা অতিমারিতে সবারই ঘুমের প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটেছে। ২৬% মানুষ দাবি করেছেন করোনার পর তাঁদের ঘুমের পরিমাণ কমেছে। ৫৯% অবশ্য ঘুম ঠিকই আছে বলে দাবি করেছেন। ভারতীয়দের টানা ঘুম না হওয়ার পেছনে রাতে বারবার প্রস্রাব পাওয়াকে দায়ী করা হয়েছে। ৭২% মানুষ জানিয়েছেন তাঁদের রাতে একাধিক বার শৌচাগারে যেতে হয়। ৪৩% মানুষ রাতে দেরিতে ঘুমোতে যাওয়া ও বাড়ির কাজকর্মের জন্য সকালে উঠে পড়াকে ঘুমের পরিমাণ কমার কারণ হিসাবে দায়ী করেছেন।
অনেকে মশার কামড় খাওয়ার পাশাপাশি রাস্তায় যানবাহনের তীব্র হর্নকেও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানোর কারণ হিসাবে দায়ী করেছেন। চিকিৎসা পরিভাষায় বলা হয় শিশুদের সবচেয়ে বেশি ঘুমের প্রয়োজন। গড়ে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সুস্থ থাকতে রাতে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। কিন্তু বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ঘুমের পরিমাণ কমে। একজন বয়স্ক মানুষের গড়ে রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। পুরুষের চেয়ে মহিলাদের বেশি সময় ধরে ঘুমের প্রয়োজন আরও বেশি। কারণ, ভালো ঘুমের সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা, হার্টের স্বাস্থ্য, বিপাকক্রিয়ার হার, ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য, আয়ু সবই জড়িত। ঘুম আমাদের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। মানসিক উদ্বেগ ও অবসাদ কমায়। দীর্ঘ সময় ধরে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে পরবর্তী সময় স্মৃতিভ্রংশ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও স্থুলতা, হার্টের রোগ, স্ট্রোক হতে পারে।