স্বাস্থ্য

জিমে হার্ট অ্যাটাক! কেন হয়? আটকাবেন কী করে, জানুন

Heart attack in the gym

The Truth of Bengal: বর্তমান সময়ে বহু মানুষ জিমে সময় কাটান। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে জিম করতে করতে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা ঘটছে। যেখানে স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য যায় মানুষ, সেখানে কেন মৃত্যু ঘটছে? অনেকের মনে এই প্রশ্ন দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আজকাল জিমে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনার পেছনে কিছু কারণ কারণ আছে।

জিমে হার্ট অ্যাটাকের কারণ–

জমে অতিরিক্ত কসরত করা। দ্রুত ফিটনেসের কারণে কিছু মানুষ খুব বেশি চাপ নেয়। সঠিক প্রস্তুতি ছাড়া কঠোর ব্যায়াম হার্টে চাপ দিতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ—

ব্যায়াম সাময়িকভাবে রক্তচাপ বাড়ায়। কারও কারও জন্য তা দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারে না। দীর্ঘক্ষণ রক্তচাপ বেশি থাকলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়।

হার্টের সমস্যা নির্ণয় না করা—

অনেক মানুষ পরীক্ষা করে দেখেন না তাঁদের হার্টে কোনও সমস্যা আছে কিনা। হার্টের অবস্থা খারাপ থাকা বা ব্লকেজ থাকলে কড়া ওয়ার্কআউটের সময় হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।

অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস–

প্রচুর রেডমিট এবং জাঙ্ক ফুড সহ ধূমপান এবং খারাপ ডায়েট হার্টের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।

স্থূলতা এবং ডায়াবেটিস—

ভারী ব্যায়ামের সময় সঠিকভাবে রক্ত ​​​​প্রবাহে সমস্যা হতে পারে। যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়।

ব্যায়াম করার সময় হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ– ব্যায়ামের সময় বা পরে বুকে ব্যথা। বমি বমি ভাব। শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া। মাথা ঘোরা। অত্যাধিক ঘামা। এই উপসর্গগুলি দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে সিপিআর দেওয়া উচিত। তাতে জীবন বাঁচাতে পারে।

জিমে হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের টিপস–

অতিরিক্ত ভারী কসরত করবেন না। আপনার শরীর কয়টা নিতে পারে তা বুঝুন। আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কে অবগত থাকুন। নিয়মিত চেক-আপ আপনাকে আপনার স্বাস্থ্যের অবস্থা জানতে সাহায্য করতে পারে। আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিবিড়ভাবে অনুসরণ করুন। আপনার শরীরের কথা শুনুন। আপনি যদি ব্যথা অনুভব করেন তা হলে বিশেষ করে বুকে কোনও অস্বস্তি হলে ব্যায়াম থামান। ঘাম থেকে ডিহাইড্রেশন এড়াতে পর্যাপ্ত জল পান করুন। রাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন। হার্টের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খান।

Related Articles