
The Turth of Bengal: ডেঙ্গির সংক্রমণ আর যাতে না বাড়ে সেজন্য প্রশাসন সবদিক থেকেই নজর বাড়িয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, কলকাতার থেকেও মফস্বল ও গ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। কোন রোগী কোন প্রজাতির মশায় আক্রান্ত হয়েছেন, তা জানা অত্যন্ত জরুরি বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। তাই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে আসা নমুনা পরীক্ষার জন্য নাইসেডে পাঠানোর নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। যেসব ব্লকে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গির জোড়া আক্রমণ দেখা যাচ্ছে সেইসব এলাকায় স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশে ক্যাম্প শুরু হয়েছে ।
র্যাপিড ডায়াগনস্টিক টেস্ট করে দেখে নেওয়া হচ্ছে রোগী কোন সমস্যায় ভুগছেন। তার কী ধরনের উপসর্গ।এর মাঝে লোকালয়ে বেড়েছে নজরদারি।কোথায় জল জমা রয়েছে,কোথায় ফাঁকা জমি পড়ে রয়েছে তা পুরসভার টিম খতিয়ে দেখছে।পাঠানো হচ্ছে নোটিশ।কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতিন ঘোষ জানিয়েছেন,৪৯৬ ধারায় ৫ হাজার নোটিস ইস্যু করা হয়েছে।দায়ের হয়েছে ৯০ টা মামলা। ১ থেকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানার সংস্থান রয়েছে । বাড়ির মালিককে খুঁজে না পাওয়া গেলে পুরসভা সেই বাড়ির জমা জল ও লার্ভা পরিস্কার করার ব্যবস্থা হচ্ছে। সরকারি বা বেসরকারি যে প্রতিষ্ঠানই হোক না কেন তার সঙ্গে কোনওরকম আপোস করা্ হবে না।
কোল ইন্ডিয়া, ন্যাশনাল লাইব্রেরিকে ইতিমধ্যেই জরিমানা করা হয়েছে।শনিবার মেয়র পারিষদ তারক সিং ময়দানে নামেন।গ্রাউন্ড জিরোয় গিয়ে পুরপ্রশাসনের কর্তারা শিকড় থেকেই সমস্যার সমাধানে নজর দিচ্ছেন।পুরপ্রশাসনের মতই নাগরিকরাও যাতে সচেতন হন সেজন্য বার্তাও দিচ্ছেন পুরকর্তা থেকে জনপ্রতিনিধি সকলেই। কলকাতার মতোই হাওড়াতেও রোগ মাথা চাড়া দেওয়ায় স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে প্রশাসন।সুরক্ষার নজরদারি বাড়ানোর কথা বলছেন প্রবীণ নাগরিকরাও। জেলায় জেলায় হেল্থ টিম সুস্বাস্থ্যের পরিবেশ বজায় রাখতে যে তত্পর তা বলাই যায়।