সকাল ও সন্ধ্যে দু’বেলা তুলসী তলায় শঙ্খ বাজাচ্ছেন? এতে নিজের কতটা উপকার করছেন জানুন
Are you playing the conch on the Tulsi floor in the morning and evening? Know how much you are benefiting yourself

The Truth Of Bengal: সন্ধ্যে হলেই তুলসী তলায় শঙ্খ ও প্রদীপ নিয়ে বাড়ির ঠাকুমা কিংবা দিদা কিংবা মায়েরা ধূপ ধুনো দিয়ে থাকে। এই সমস্ত নিয়ম এখনও গ্রামে গঞ্জে দেখা গেলেও শহরে মানুষের ব্যস্ততার কারণে সন্ধ্যে হলে তুলসী তলায় ধূপ দেওয়ার বা শঙ্খ বাজানোর সময় নেই। শহরবাসীরা বাড়িতে কোন পুজো হলে কিংবা বছরে একবার দুর্গা পূজা, কালি পূজা, সরস্বতী পূজা হলে তখন শঙ্খ ধ্বনি শুনতে পান বা নিজেরা বাজান। কিন্তু আপনি কি জানেন? এই শঙ্খ বাজালে শরীরে কি কি উপকার পেতে পারেন আপনি। সকাল বেলা সন্ধ্যে বেলা যারা নিয়মিত শঙ্খ বাজাচ্ছেন তারা জেনে নিন শরীরের কি কি সুবিধা হবে।
১. আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাশাস্ত্রে বলা হয় শঙ্খ বাজানো এক ধরনের প্রাণায়াম। শঙ্খ বাজাতে গেলে একবার শাঁস নেওয়ার পর সেই শ্বাস ছাড়তে হয় ধীরে ধীরে। এই ভাবে করতে থাকলে তা ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শঙ্খ বাজালে শ্বাসযন্ত্রের ব্যায়াম হয়। সকাল সন্ধ্যে যদি শঙ্খ বাজান তাহলে আপনার শ্বাসযন্ত্রের মধ্যে একটা ছন্দ অনুভূত হয়।
২. শঙ্খ যদি নিয়মিত ফু দিয়ে বাজানো হয় তাহলে আপনার মন ও স্নায়ুতন্ত্রের উপরেও এর প্রভাব পরে। শঙ্খ বাজালে মন শান্ত হয়। শঙ্খ বাজানোর সময় যে কম্পন অনুভূত হয় তা পৌঁছয় আপনার মস্তিষ্কে।
৩. শঙ্খ বাজাতে গেলে আপনাকে যে ফু দিতে হবে তাতে থাইরয়েড গ্রন্থি ও ভোকাল কর্ডের ব্যায়াম হবে আপনার।
৪. শঙ্খ বাজানোর ফলে মূত্রনালি ব্লাডার, তলপেটের ব্যায়ামও খুব ভালো ভাবে হয় আপনার।
৫. শঙ্খ বাজাতে গেলে যে যত বেশি পারে জোরে ফুঁ দেয়, তাতে নাকি বাজানো বেশি ভালো হয়। তবে এর গলে মুখের মাংসপেশির ব্যায়ামও হয়ে যায়। রক্ত সঞ্চালন সঠিক ভাবে হয়। কিন্তু শঙ্খ বাজানোর ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম পালন করতে হবে আপনাকে। আপনার যদি উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা থাকে কিংবা গ্লকোমা, হার্নিয়ার মতো সমস্যা থাকে তাহলে জোর করে ফুঁ দিয়ে শঙ্খ বাজানো মোটেই ভালো নয়।