ফের ভারতীয় খাবারের মুকুটে জুড়ল নয়া পালক, বিশ্বের সেরা পানীয় ম্যাঙ্গো লস্যি
Mango Lassi is the best drink in the world

The Truth Of Bengal, Mou Basu : সুস্বাদু ভারতীয় খাবারের কদর গোটা বিশ্বে। ফের ভারতীয় খাবারের মাথায় উঠল সেরার শিরোপা। বিশ্বের সেরা দুগ্ধজাত পানীয়র তালিকায় সেরা হয়েছে ভারতের ম্যাঙ্গো লস্যি। ক্রোয়েশিয়ার ফুড কলম গাইড TasteAtlas ২০২৩-২৪ সালের সেরা দুগ্ধজাত পানীয়র তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই তালিকায় প্রথম ১৬টি পানীয়র মধ্যে একেবারে প্রথমেই রয়েছে ম্যাঙ্গো লস্যি। গরমকালে ম্যাঙ্গো লস্যি খেলে শুধু তৃষ্ণারই নিবারণ হয় না তা প্রাণমনও জুড়ায়। টাটকা মিষ্টি আমের টুকরো, টক দই, চিনি ও জল মিশিয়ে তৈরি করা হয়। স্বাদ বাড়াতে দারচিনি গুঁড়ো ও দুধে মেশানো কেশরও দেওয়া হয়। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, খ্রিষ্ট পূর্বের ১ হাজার বছর আগে জন্ম লস্যির। মুলতান ও পঞ্জাবে জন্ম লস্যির। যখন ফ্রিজের আবিষ্কার হয়নি তখন মাটির পাত্রে রাখা হত লস্যি। স্বাদ বাড়াতে বিভিন্ন রকমের মশলা, ফল, ড্রাই ফ্রুটস ও হার্ব ব্যবহার করা হত।
এতে যেমন পানীয়র স্বাদ উৎকৃষ্ট হত তেমনই পুষ্টিগুণও বাড়ত। উত্তর ভারত থেকে উদ্ভব হলেও আজ লস্যির জনপ্রিয়তা গোটা ভারত তথা বিশ্বজুড়ে। TasteAtlas এর সেরা দুগ্ধজাত পানীয়র তালিকায় ম্যাঙ্গো লস্যি ছাড়াও রয়েছে পঞ্জাবী লস্যি, মিষ্টি লস্যি, নোনতা লস্যি, ভাঙ লস্যি ও পুদিনা লস্যির মতো আরও ৫ ভারতীয় পানীয়। তালিকায় শীর্ষে থাকা ম্যাঙ্গো লস্যি ৪.৭ রেটিং পেয়েছে। ভারত ছাড়াও বিশ্বের সেরা দুগ্ধজাত পানীয়র তালিকায় নাম রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, চিলি, সুইডেন, ইউক্রেন ও আর্মেনিয়ান পানীয়রও। তালিকায় ৪.৪ রেটিং পেয়ে চতুর্থ স্থানে আছে সাধারণ লস্যি। ৩.৭ রেটিং পেয়ে দ্বাদশ স্থানে আছে নোনতা লস্যি।
অন্যদিকে, দুগ্ধজাত পানীয়র পাশাপাশি নন-অ্যালকোহলিক বেভারেজ বা পানীয়র তালিকাও প্রকাশ করেছে TasteAtlas। সেই তালিকায় শীর্ষে আছে মেক্সিকো, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে জনপ্রিয় পানীয় Aguas Frescus। বিভিন্ন রকমের ফল, ফুল, দানা শস্য ও বীজ একসঙ্গে বেটে, জল ও চিনি মিশিয়ে তৈরি করা হয় এই পানীয়। গরমকালে খাওয়া হয় এই পানীয়। নন-অ্যালকোহলিক পানীয়র তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে আদা, লবঙ্গ, দারচিনি, গোলমরিচ, এলাচ দিয়ে তৈরি মশলা চা। চতুর্থ স্থানে আছে চিলির কোলা দ্য মোনো নামের পানীয়। পঞ্চম স্থানে আছে জাপানের রোস্টেড গ্রিন টি ”Hojicha”।
FREE ACCESS