চড়কাণ্ডে সিআইএসএফ জওয়ানের প্রশংসা করায় বেজায় রুষ্ট কঙ্গনা
Kangana is furious after praising the CISF jawan in Charkand

The Truth Of Bengal : অভিনেতা-রাজনীতিবিদ কঙ্গনা রানাউত শনিবার সিআইএসএফ মহিলা কনস্টেবলের প্রশংসা করার সমালোচনা করেছেন যিনি তাকে চড় মেরেছিলেন এবং জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তারা “ধর্ষণ বা হত্যা”ও ন্যায্য কিনা। মিসেস রানাউত, বৃহস্পতিবার একটি ভিডিও বার্তায় বলেছিলেন, চন্ডিগড় বিমানবন্দরে নিরাপত্তা চেক করার সময় কনস্টেবল তাকে মুখে আঘাত করেছে এবং গালিগালাজ করেছে।
বরাবরই শিরোনামে থাকেন অভিনেত্রী কঙ্গনা। সেখানেই এবার সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে চণ্ডীগড়ে, হিমাচল প্রদেশের লোকসভা কেন্দ্রের বিজয়ী প্রার্থী কঙ্গনা রানাওয়াতকে চড় মারার দৃশ্য। যা ইতিমধ্যেই আলোড়ন ফেলেছে দেশীয় রাজনীতি’তে। যেখানে নিরাপত্তার জন্য কোন কমতি রাখেন না নিরাপত্তা রক্ষীরা, সেখানেই তাদের দ্বারাই এহেন আচরণ কোথাও গিয়ে প্রশ্ন তুললেও এদিন অভিনেত্রী নিজের একটি ভিডিও শেয়ার করে কেন নিরাপত্তা রক্ষী তাঁকে চড় মেরেছিলেন সেই কথাই প্রকাশ্যে আনেন।
ভিডিও শেয়ার করে অভিনেত্রী জানান, মহিলা নিরাপত্তা রক্ষী আসলেই কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করেন, তাই তিনি এটি করেছেন। তবে আসল কারণ খুঁজতে গেলে জানা গিয়েছে এর পেছনে রয়েছে অন্য কারণ। এদিন বিকেল ৩টে নাগাদ তাঁর বিমানে ওঠার কথা ছিল। তবে বিমানবন্দরে কিছু নিরাপত্তাজনিত কারণে তল্লাশি করবার সময়ে ওই নিরাপত্তারক্ষী অভিনেত্রীকে নিজের মোবাইল ফোনটি একটি নির্দিষ্ট ট্রে-তে রাখতে বলা হলে অভিনেত্রী রাজি হননি। তখন ওই নিরাপত্তা রক্ষী অভিনেত্রীকে জানান, বিমানবন্দরের নিরাপত্তার নিয়ম অনুযায়ী, মোবাইল ওই ট্রে-তে রাখতে হবে। এবং এরপরই দুজনের মধ্যে শুরু হয় বচসা। এরপর পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এবং তখনই অভিযোগ ওঠে, কঙ্গনা ওই মহিলা নিরাপত্তারক্ষীকে ধাক্কা মারেন। এবং এই কারণেই রক্ষী তাঁকে চড় মারেন বলে অভিযোগ।
এরপর ৩৭ বছর বয়সী একজন এক্স এন্ডেলে পোস্ট করে লিখেছেন, ” মনে রাখবেন আপনি যদি কারোর অন্তরঙ্গ অঞ্চলে প্রবেশ করেন, তাদের অনুমতি ছাড়াই তাদের দেহ স্পর্শ করা এবং তাদের উপর আক্রমণ করার ভাবনা চিন্তা করেন তাহলে এটি হলো একটি অপরাধমূলক আচরণ”।
তবে এ প্রসঙ্গে একটি ভিডিয়ো বার্তায় কঙ্গনা বলেন, ‘‘আমার কাছে অনেক ফোন আসছে। প্রথমেই জানাই, আমি ভাল আছি। আজ চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে নিরাপত্তা তল্লাশির পর আমি যখন বেরোলাম, পাশের একটি কেবিন থেকে এক মহিলা নিরাপত্তারক্ষী বেরিয়ে এসে পাশ থেকে আমার গালে মারেন। আমাকে গালিগালাজও করেন। আমি ওঁকে যখন জিজ্ঞেস করলাম, কেন উনি এমন করলেন, উনি বললেন, উনি কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করেন। আমি নিরাপদে আছি। কিন্তু পঞ্জাবে যে ভাবে আতঙ্কবাদ এবং উগ্রবাদ বেড়ে চলেছে, তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।’’ তবে ঘটনাটির পর মহিলা নিরাপত্তা রক্ষীকে আটক করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। এবং বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে।