
The Truth of Bengal: ৪৩ বছর আগে ৩১ জুলাই সঙ্গীত জগতকে কাঁদিয়ে অমর্ত্য লোকে যাত্রা করেছিলেন কিংবদন্তি শিল্পী মহম্মদ রফি। প্রয়াণের এত বছর হয়ে গেলেও আজও কোটি কোটি সঙ্গীতপ্রেমীর হৃদয়ে রয়ে গিয়েছেন তিনি। ভক্তদের কাছে সেই আগের মতো আছেন রফি সাহেব। সেই ভক্তদের একজন হলেন হুগলির ভাণ্ডারহাটির পরমেশ্বর টুডু। তাঁর শয়নে স্বপনে অনেকটাই জায়গা জুড়ে আছেন মহম্মদ রফি। এক সময় একটি বিমা কোম্পানিতে চাকরি করতেন পরমেশ্বর।
বর্তমানে অবসর জীবন যাপন করছেন। কিন্তু সেই ছোট বয়স থেকে তিনি রফির মধুর কণ্ঠের প্রেমে পড়েছিলেন। তাঁর এমন কোনও গান নেই যে তিনি জানেন না। সঙ্গীতের প্রথাগত কোনও তালিম নেননি তিনি। শুধু শুনতে শুনতে তাঁর হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে কিংবদন্তি শিল্পী। পরমেশ্বর নিজের মনের শান্তির জন্য সারাদিন রফির গান গুনগুন করেন। পথে-প্রান্তরে রফির গান শুনিয়ে চলেন। সোমবার কিংবদন্তি শিল্পীর জন্মদিনে তিনি হুগলির শ্রীরামপুরের বিভিন্ন এলাকায় তাঁর কালজয়ী গানগুলি পথচলতি মানুষদের শুনিয়ে চলেন। এই ভাবেই তিনি জন্মদিনে রফি সাহেবকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরমেশ্বরের কথায়, মহম্মদ রফি আর দ্বিতীয়বার জন্মগ্রহণ করবেন না।
দেশ কেন সারা পৃথিবীতে যেখানে ভারতীয়রা আছেন তাঁদের কাছে মহম্মদ রফির কণ্ঠ চিরকাল অমলিন হয়ে থাকবে। পরমেশ্বর টুডু কতটা রফি-ভক্ত টা জানেন এলাকার লোকজন। কিংবদন্তি শিল্পীর জন্মদিনে সেই ভক্ত আলাদা করে পথে নামেন। সকলকে গান শুনিয়ে তিনি রফির জমদিন উদযাপন করেন। আসুমুদ্রহিমাচল একটা সময় বুঁদ হয়ে থাকত মহম্মদ রফির গানে। তাঁর প্রয়াণের আজ ৪৩ বছর হয়ে গেলেও সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছে এখনও তিনি একই রকম আছেন। দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা তাঁর লক্ষ লক্ষ ভক্ত আজও বাঁচিয়ে রেখেছেন রফির অমর কীর্তিকে। সেই ভক্তদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন পরমেশ্বর টুডু। এমন ভক্তর জন্য আজও অমলিন হয়ে হয়ে কিংবদন্তি শিল্পী মহম্মদ রফি।