শিক্ষা

সংসারে অভাব থাকলেও মেধায় নয়, গরীব বাড়ির ছেলে আজ বীরভূমের ব্রাঞ্চ পোস্টমাস্টার

Although he lacked in the family, but not in talent, the son of a poor family is today the branch postmaster of Birbhum

The Truth Of Bengal: পেটে ভাতের অভাব থাকলেও পড়াশোনাতে কোনদিনও ইচ্ছা শক্তির অভাব ঘটেনি বীরভূমের ভূমি পুত্রের। দারিদ্র্যতা থাকলেও লড়াই করে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় তা আবার প্রমাণ করে দেখালেন প্রত্যন্ত গরীব বাড়ির ছেলে। শুধুমাত্র নিজের প্রচেষ্টায় বিশ্বের অন্যতম কঠিন পরীক্ষা অর্থাৎ UPSC এর ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল সার্ভিস পরীক্ষায় ত্রয়োদশ স্থান অধিকার করেন তিনি।

বীরভূম জেলার মোহাম্মদ বাজার এলাকায় বিষ্ণুপুর কুলকুরি গ্রামে মা, বাবা, দুই বোন ও ঠাকুমার সাথে বসবাস দেবদূত সাহার। ছোটবেলা থেকে অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন দেবদূত। বিষ্ণুপুর হাই স্কুল থেকে ৮৯ শতাংশ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক এবং বীরভূম জেলা স্কুল থেকে ৮৭ শতাংশ নাম্বার পেয়ে উচ্চমাধ্যমিকে পাস করেন এই মেধাবী ছাত্র। এরপর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাশিবিজ্ঞান নিয়ে ৮০.২ শতাংশ নম্বর পেয়ে স্নাতক পাস করেন দেবদূত।

[ আরও পড়ুন ঃ

শিলিগুড়ির মুরালিগঞ্জ থেকে চোরাই বাইক সহ গ্রেফতার ২

শিলিগুড়ির মুরালিগঞ্জ থেকে চোরাই বাইক সহ গ্রেফতার ২

]

মনে ইচ্ছে ছিল অন্য কারোর পরিচয় নয় নিজের পরিচয় বাধা উঁচু করে বাঁচা। এরপর নিজের ইচ্ছে পূরণের লক্ষ্যে সর্বভারতীয় স্তরের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি পর্ব শুরু করেন এই লড়াকু ছাত্র। কলেজে পড়াকালীন ‘ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিকাল সার্ভিস’ এর সিলেবাস সম্বন্ধে জানতে পারেন তিনি। বাড়িতে এতটাই অভাব ছিল যে UPSC পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য কোন কোচিং সেন্টারে ভর্তি হতে পারেননি তিনি। এরপর পরীক্ষায় সফল হয়ে প্রথমবার ইন্টারভিউ পর্যন্ত গিয়েও সাফল্যের দূর করা থেকে ফিরে আসতে হয় তাকে। পরবর্তীকালে হার না মেনে শুধুমাত্র নিজের অদম্য ইচ্ছা শক্তি এবং কঠোর পরিশ্রমের জেরে দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় বসে বিশ্বের অন্যতম কঠিন পরীক্ষা অর্থাৎ UPSC এর ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল সার্ভিস পরীক্ষায় সফল হয়ে ত্রয়োদশ স্থান অধিকার করেন তিনি।

দেবদূত জানায়, “মাটির ঘরে দারিদ্র সহ্য করে মা, বাবা বরাবর আমার পাশে থেকেছেন। জীবনের লক্ষ্য ছিল বড় হওয়া, সরকারি উচ্চপদে চাকরি করা, বড় কিছু না করলে আমাদের আর্থিক ও সামাজিক উন্নতি হবে না, এই ভাবনা থেকেই লড়াই শুরু।” বর্তমানে দেবদূত এখন বীরভূম জেলার ব্রাঞ্চ পোস্টমাস্টার। মাত্র ২৫ বছর বয়সে দেবদূতের এহেন সাফল্যে অত্যন্ত আনন্দিত এবং উচ্ছ্বসিত তার পরিবারসহ বীরভূমের মানুষজন।

Related Articles