সম্পাদকীয়

সাগর মেলা নিয়ে কেন্দ্র উদাসীন কেন?

Why is the center indifferent to the Sagar Mela?

Truth Of Bengal: পুণ্য লাভের আশায় পুণ্য লগ্নে ডুব দিলেন দেড় কোটি মানুষ৷ কুম্ভ হয়ে উঠেছে মিলন মেলা।পিছিয়ে নেই বাংলার গঙ্গাসাগরও। লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী মোক্ষ লাভের আশায় ডুব দেন পুণ্যতোয়ায়। আধ্যাত্মিকতা এবং জ্যোতিষশাস্ত্র, সংস্কৃতি, ধর্ম, ঐতিহ্য এবং আধুনিক প্রযুক্তি সবকিছু মিশে গিয়েছে প্রয়াগরাজের গঙ্গা, যমুনা এবং পৌরাণিক সরস্বতীর সঙ্গমে। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম সমাবেশ মহাকুম্ভ৷ মঙ্গলবার ছিল পুণ্যস্নান।

কুম্ভে ১২ বছর পর অনুষ্ঠিত এই মেলায় ৪০ কোটিরও বেশি মানুষ আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্য তো বটেই বিদেশ থেকেও আসছেন পুণ্যার্থীরা। মঙ্গলবার ভোরের আঁধারে আনুষ্ঠানিকভাবে শঙ্খধ্বনি ও ভজনের ধ্বনিতে মেলা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভক্তরা ‘জয় গঙ্গা মাইয়া’, ‘হর হর মহাদেব’ স্লোগান তুলে মুখরিত করে তোলেন মেলা চত্বর। সন্ত থেকে সাধারণ জনতা মোক্ষের আশায় হাড় কাঁপানো শীত উপেক্ষা করে জলে ডুবদেন।

এই মেলা আয়োজন করা খুব একটা সহজ কথা নয়। কুম্ভ জাতীয় মেলা বলে এখানে কেন্দ্রের ভূমিকা থাকে অনেকটাই। মেলা আয়োজনের খরচ থেকে শুরু করে পরিকাঠামো সব ক্ষেত্রেই মেলা সরকারি সাহায্য।সেই সঙ্গে আছে রাজ্য সরকারের অংশগ্রহণ। দুই সরকারের মিলিত চেষ্টায় মহাকুম্ভ হয়ে উঠেছে মহামিলন ক্ষেত্র। অন্যদিকে, বাংলার সাগর দ্বীপও পিছিয়ে নেই।

এখানে কয়েক লক্ষ মানুষ এসেছেন পুণ্য স্নানের জন্য।এই লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য যাবতীয় আয়োজন করেছে রাজ্য সরকার। যেহেতু জাতীয় মেলার স্বীকৃতি পায়নি সাগরমেলা, তাই এই মেলা পায়না কেন্দ্রের সাহায্য। মেলা আয়োজনের যাবতীয় খরচ বহন করে রাজ্য সরকার। কোটি কোটি টাকা খরচ করে বাংলার সরকার লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর জন্য সব ব্যবস্থা করে। গুরুত্বের দিক থেকে সাগর মেলা কোনও অংশে কম নয় কুম্ভ মেলার থেকে। সেই কুম্ভ মেলা কেন্দ্রের স্বীকৃতি পেলে বাংলার সাগর মেলা কেন পাবেনা কেন্দ্রের স্বীকৃতি? এই প্রশ্ন তুলে বারবার কেন্দ্রের কাছে জাতীয় মেলার স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কেন্দ্র উদাসীন। কেন দেওয়া হচ্ছে না জাতীয় মেলার স্বীকৃতি? এবার প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে।

Related Articles