কমিশনকে চাপে রাখা থেকে সরছে না তৃণমূল
Trinamool is not backing down from putting pressure on the commission.

Truth Of Bengal: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত। আবার মারা গিয়েছে অনেক দিন আগে, কিন্তু এখনও নাম আছে ভোটার তালিকায়। এখানেই শেষ নয়, একই এপিক নম্বরে ভিন্ন রাজ্যে একাধিক ভোটারের খোঁজ মিলেছে। কেন এমন হবে? কমিশন কেন স্বচ্ছতার সঙ্গে ভোটার তালিকা বানাবে না?
ভোটার তালিকা থেকে ভূত তাড়াতে দাবি উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। সবার আগে দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়টি নিয়ে সরব হন। তিনি দলের নেতা কর্মীদের নির্দেশ দেন, ভূতুড়ে ভোটার ধরার। তার জন্য একটি কমিটি গড়ে দেন তিনি। সেই নির্দেশের পর কলকাতা সহ জেলায় জেলায় আসরে নামে তৃণমূল। ভোটার তালিকা ধরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খতিয়ে দেখা হয়। তাতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে অভিযোগ করেছিলেন সেই অভিযোগ অনেকাংশে সত্যি। সেই তথ্য নথিভুক্ত করা হয়।
সেই কাজের অগ্রগতি নিয়ে বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে বৈঠকে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়ে দেওয়া কমিটি। বৈঠকের পর সেখান থেকে একটি প্রতিনিধি দল যায় নির্বাচন কমিশনের দফতরে। নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের কাছে তুলে দেওয়া হয় ভোটার তালিকায় যে যে অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে তার বিস্তারিত। এমন আরও অনেক তথ্য কমিশনের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে শাসক দলের তরফে।
ভূতুড়ে ভোটার ও স্বচ্ছ ভোটার তালিকা নিয়ে কমিশনের ওপর এই ভাবে চাপ বাড়িয়ে যেতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের দাবি, বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের অঙ্গুলিহেলনে এই কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। স্বচ্ছ ভোটার তালিকা না বানানো হলে প্রয়োজনে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে ধর্না দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। যিনি ভোট দেওয়ার অধিকারী তিনি ভোট দেবেন। যিনি অধিকারী নন তিনি ভোট দেবেনে না। এটাই নিয়ম।
আর সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। দেখা যাচ্ছে কমিশনের কাজে অনেক ত্রুটি আছে। যা নিয়ে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দল। তবে এখানে লক্ষ্যণীয় বিষয়, মানুষের ভোটদানের অধিকার নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস যে ভাবে সরব হয়েছে, সেই ভাবে অন্য দলগুলিকে পথে নামতে দেখা যাচ্ছে না।