সম্পাদকীয়

এখন আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বাস্থ্য সাথী

Now health companionship has become a blessing

Truth Of Bengal: রাজ্যের মানুষের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো এখন আরও অত্যাধুনিক করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান, নিজের নিজের এলাকায় মানুষ পাবে উন্নত চিকিৎসা। সেইজন্য এখন জেলায় জেলায় সব রকমের আধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা মিলছে। ফলে এখন ভাল চিকিৎসার জন্য কলকাতায় আসার হার কমেছে। এখানেই থেকে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্যের মানুষ যাতে বেসরকারি হাসপাতালে বিনা খরচে চিকিৎসা করতে পারেন, তার জন্য তিনি চালু করেন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। এই কার্ডধারীরা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনা খরচে বিমার সুযোগ পাবেন। মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত রাজ্য সরকারের ‘স্বাস্থ্য সাথী’ প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত ৮ কোটি ৭২ লক্ষ ৫৭ হাজার ৬০৭ জনের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই খাতে সরকার যা ব্যয় করছে সেই অঙ্ক আকাশছোঁয়া।

২০২১-২২ অর্থবর্ষে ২২৬৩ কোটি ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৯৩৯ টাকা খরচ হয়েছে রাজ্য সরকারের। পরের অর্থ বছর অর্থাৎ ২০২২-২৩ সালে অর্থের অঙ্ক অনেকটাই বেড়ে হয়েছে ২৬৩০ কোটি ৫৬ লক্ষ ৮২ হাজার ৬৯৪ টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে রাজ্যে মোট ২১ লক্ষ ২৮ হাজার ৮৩৪ জন মানুষের স্বাস্থ্য সাথী পরিষেবার জন্য রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছে ২৬৯৪ কোটি ৬৪ লক্ষ ৯ হাজার ৬৩১ টাকা। এই কার্ডের মাধ্যমে দরিদ্র সাধারণ মানুষ জটিল চিকিৎসা করার সুযোগ পাচ্ছে।

রাজ্য সরকারের এই কার্ডের সুবিধা নিচ্ছেন প্রবীণ ব্যক্তিরাও। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা করিয়ে উপকৃত হয়েছেন ৯ লক্ষের বেশি প্রবীণ মানুষ। সাধারণ মানুষের কাছে মুশকিল আসান হয়ে দাঁড়াচ্ছে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প। প্রকল্পের শুরুর সময় থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা এই কার্ডের পরিষেবার আওতায় ছিলেন না। বেসরকারি কোম্পানিগুলি ৬০ বছর হয়ে গেলেই স্বাস্থ্যবিমা বা মেডিক্লেম করতে চায় না।

তাদের জন্য অত্যন্ত সহায় হয়ে দাঁড়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা এই প্রকল্প। এই কার্ডের মাধ্যমে রাজ্যের প্রবীণ ব্যক্তিরা জটিল থেকে শুরু করে সাধারণ রোগের চিকিৎসা করানোর সুযোগ পাচ্ছেন বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে। রাজ্যের মানুষের কাছে এখন আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড।

Related Articles