সম্পাদকীয়

আর সিঁদ কেটে ঢুকতে পারবে না প্রতারকরা

No more fraudsters will be able to break through the wall

Truth of Bengal: নেট দুনিয়ায় ওত পেতে আছে জালিয়াতরা। একটু অসতর্কতার মুহূর্তে আপনার অ্যাকাউন্টের সমস্ত কিছু ফাঁকা করে দিতে পারে। দিচ্ছেও এই কাজে সিদ্ধ হস্ত বিহারের জামতাড়া গ্যাং। এখন আবার আরও অনেক জায়গায় এই সাইবার জালিয়াতদের গ্যাং গজিয়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ এই গ্যাংয়ের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়ে যাচ্ছে। বাদ যাচ্ছেনা প্রশাসনও। পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সাইবার প্রতারকরা। রাজ্যের বিভিন্নপ্রান্তে এমন ঘটনা ঘটার পর গুরুত্ব দিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু করে প্রশাসন।

কেউ বঞ্চিত যেমন হবেনা, তেমনই এই চক্রের পেছনে যারা আছে তাদের খুঁজে বেরকরে কড়া শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। সেই সঙ্গে আগামীর জন্য সতর্ক হল প্রশাসন। এবার রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার আগে ভাল করে যাচাই হবে। নয়া নিয়ম জারি করেছে নবান্ন। কার অ্যাকাউন্টে সরকারি টাকা পৌঁছবে তা যাচাই করা হবে।

অর্থাৎ অ্যাকাউন্ট ভ্যালিডেশন করার পরেই সরকারি টাকা পৌঁছবে অ্যাকাউন্টে। আরও বেশ কিছু বিষয় সামনে রেখেই অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হবে। এবার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরকে নবান্ন নির্দেশ দিয়েছে অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন করার জন্য। যার অ্যাকাউন্টে সরকারি প্রকল্পের টাকা যাচ্ছে তার নাম, অ্যাকাউন্ট নম্বর সহ বিভিন্ন তথ্য যাচাই করার পরেই প্রসেস করা হবে।

স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং টাকা যাতে গায়েব না হয়ে যায় তার জন্যই নবান্নের তরফে এই নয়া নিয়ম দফতরগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র ট্যাবের ক্ষেত্রে নয়, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। উপভোক্তার সমস্ত তথ্য যাচাই করবেন অর্থ দফতরের অফিসাররা।

সামাজিক প্রকল্পগুলির টাকা পেতে আগামীতে সাধারণ মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্যই নয়া নিয়ম প্রশাসনের এই পদক্ষেপে এবার জব্দ হবে সাইবার প্রতারকরা।তারা আর সহজে সিঁদ কেটে ঢুকতে পারবেনা। কারও অ্যাকাউন্টে যার জন্য বরাদ্দ প্রকল্পের টাকা, তিনি পাবেন সেই টাকা।মাঝখান থেকে আর টাকা গায়েব হওয়ার ঘটনা ঘটবেনা। সেই সঙ্গে অকারণে প্রশাসন কে সমালোচনা করার সুযোগ থাকবে না।যেখানে প্রশাসনের কোন ও দায়-ই নেই।

Related Articles