উৎসব পরিচালনায় সফল কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ
Kolkata and state police successfully conduct the festival

Truth Of Bengal: আগামী ৬ এপ্রিল রামনবমী। ধর্মপ্রাণ রামভক্ত মানুষের কাছে এই পবিত্র দিনটি বরাবরই বিশেষ শ্রদ্ধার, ভক্তির। সারা দেশের ন্যায় পশ্চিমবঙ্গেও বিভিন্ন জায়গায় রামনবমীর অনুষ্ঠান নিষ্ঠা ভরে অনুষ্ঠিত হয়। রামমন্দির গুলিতে বিশেষ পুজো-পাঠের আয়োজন করা হয়। বাংলায় দুর্গাপুজো, কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো, লক্ষ্মীপুজো, সরস্বতী পুজো, রাস, যেভাবে আড়ম্বরের মধ্যে উদযাপন হয় রামনবমী সাধারণত তেমন হয় না।
বাংলার ঐতিহ্য এবং পরম্পরার সঙ্গে তেমন ভাবে রামনবমীর খুব বেশি যোগ নেই। তবে বর্তমানে যেভাবে ‘রাম’-এর রাজনৈতিকীকরণ ঘটেছে তার প্রভাব পড়েছে রাজ্যেও। রামনবমীর মিছিল ঘিরে তপ্ত হয়েছে বঙ্গ। অস্ত্রের ঝনঝনানি কাঁপিয়েছে এলাকা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে এর পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক মদত। এমনকি অস্ত্র হাতে বহিরাগতদেরও দেখা মিলেছিল। পুলিশ গ্রেফতার করেছিল হাওড়া থেকে।
এবছর আগে থেকেই প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। কোনরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় তার জন্য বিশেষ সতর্কতা। রামনবমীর দিন বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। কোনরকম প্ররোচনা ছড়ালে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হোক এমন প্ররোচনা ছড়ানোর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অশান্তি মোকাবিলা করতে আগে থেকেই কৌশল সাজিয়েছে রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ। বাংলা সব সময় সম্প্রীতির কেন্দ্রস্থল। সব ধর্মের মানুষ এখানে বসবাস করেন একে অপরের মধ্যে সৌভ্রাতৃত্ব বজায় রেখে। সেই একতা ভাঙার রাজনৈতিক চক্রান্ত চলছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ উঠেছে। ষড়যন্ত্রকারীদের সেই প্রয়াস রুখে দিতে প্রস্তুত পুলিশ।
রামনবমীকে হাতিয়ার করে যেন কোনরকম সাম্প্রদায়িক অশান্তি না ছড়ায়, অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি না হয় তার জন্য সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান উৎসব ইদ নির্বিঘ্নেই মিটল। রামনবমী ও ইদ – দুই অনুষ্ঠান রাজ্যে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে পুলিশি তৎপরতা প্রথম থেকেই।
একটি অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। রাজ্যের কোথাও কোনো অপ্রীতিকার পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। ঠিক একই রকম ভাবে রামনবমীর অনুষ্ঠানে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। দুর্গাপুজোর মতো অনুষ্ঠান যেখানে কয়েক কোটি মানুষের অংশগ্রহণ ঘটে, কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ সুদক্ষভাবে তা পরিচালনা করে। নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় বাংলার দুর্গা পুজো। অন্যান্য উৎসবও সেই ট্রাডিশন বজায় রাখে। যতই প্ররোচনার সৃষ্টি হোক, সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে তা মোকাবিলা করে পুলিশ। এক্ষেত্রেও সেই সফলতা আসবে বলে বিশ্বাস পুলিশ প্রশাসনের।