সম্পাদকীয়

বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার দায় সরকারের

It is the government's responsibility to answer the opposition's questions

Truth Of Bengal: প্রশাসনের তরফে বলা হচ্ছে কুম্ভ বিপর্যয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। তবে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিরোধীরা এই কথা মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি অনেক বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যোগী সরকার যতই মৃতের সংখ্যা ৩০ বলে দাবি করুক না কেন, বেসরকারি মতে কুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাটা শতাধিক। সত্যিই কত মানুষ মারা গিয়েছে কুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে, কেন্দ্রের কাছে তা জানতে চাইল বিরোধীরা।

কেন্দ্র এব্যাপারে এখনও কোনও পদক্ষেপের কথা জানায়নি। অর্থাৎ কেন্দ্রের তরফে সেই সংখ্যা জানানো নিয়ে একটা টালবাহানা চলছে। সোমবার সংসদে বাজেট অধিবেশনে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা জানতে চেয়ে একযোগে সরব হয়ে ওঠেন বিরোধী সাংসদরা। সংসদের দুই কক্ষেই কুম্ভ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। হই হট্টগোল শুরু হয়ে যায় লোকসভার অধিবেশন কক্ষে। ‘কুম্ভ নিয়ে জবাব দাও’ স্লোগান তুলতে থাকেন বিরোধী সাংসদরা। বিরোধীদের দাবি, কুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে যত জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের নামের তালিকা দিতে হবে সরকারকে।

সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা যা বলা হচ্ছে, আসলে তার থেকে আরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। কুম্ভ নিয়ে অধিবেশন কক্ষ উত্তাল হয়ে ওঠার পর রাজ্যসভা থেকেও ওয়াকআউট করেন বিরোধী সাংসদরা। বিরোধীদের এই যে দাবি তা কি অন্যায্য? একেবারেই নয়। শাসক পক্ষের কাছে স্টহিত তথ্য জানতে চাওয়ার মধ্যে কোনও ভুল নেই। তা হলে কেন্দ্র সেই তথ্য জানাচ্ছে না কেন? বিরোধীদের তরফে বলা হচ্ছে, প্রশাসন যে ৩০ জনের মৃত্যুর কথা বলছে, তাঁদের নাম ও পরিচয়ের তালিকা দেওয়া হোক। যোগী প্রশাসন ৩০ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে।

এই সংখ্যা তাঁরা যদি জনাতে পারে, তা হলে সেই মৃতদের নাম ও পরিচয় সরকারের কাছে নিশ্চয়ই আছে। তা হলে সেই নাম ও পরিচয় প্রকাশ করতে অসুবিধা কোথায়? তা হলে কিছু লুকোনোর চেষ্টা হচ্ছে? যে রকম বিপর্যয় হয়েছে তাতে বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি। বিরোধীদের এই অভিযোগের উত্তর দেওয়ার দায় সরকারের। আর সরকার যদি সেই উত্তর না দেয় তা হলে বুঝতে হবে কুম্ভে যা আশঙ্কা করা হচ্ছে সেটাই সঠিক।

Related Articles