স্বচ্ছ ভোটার তালিকা: দ্বিতীয়বার জয় মমতার
Clear voter list: Mamata wins for the second time

Truth Of Bengal: ১৯৯৩ সাল। ‘নো আইডেন্টিটি নো ভোট’ এই দাবিতে জোরালো আন্দোলন সংগঠিত করছেন তৎকালীন বিরোধীনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাইন্টিফিক রিগিং। ভুয়ো ভোটার। ছাপ্পা ভোট। সিপিএমের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রাম। নির্বাচন কমিশনের কাছে তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আওয়াজ তুললেন ‘নো আইডেন্টিটি নো ভোট’। তাঁর দাবি ছিল মানুষ তার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করার স্বাধীনতা পাক। সেই সময় ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার টি এন শেসন গোটা দেশজুড়ে ভোটার পরিচয় পত্র তৈরীর ঘোষণা করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই আন্দোলনের জয় হয়েছিল।
২০২৫ সাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করলেন ভোটার তালিকায় ভূতুড়ে ভোটাররা জায়গা করে নিচ্ছে। নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের বিশেষ সম্মেলন থেকে অভিযোগ করলেন গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ সহ অন্য রাজ্যের এপিক নম্বর এবং বাংলার এপিক নম্বরে একই ভোটারের নাম উঠছে। কিভাবে সম্ভব একই এপিক নম্বর? কোর কমিটি গড়ে দিলেন নিজের দলে। অভিযোগ, বিজেপি বিশেষ সুবিধা নিতে ভুয়ো ভোটারদের নাম ঢোকাচ্ছে তালিকায়।
রাজনৈতিকভাবে লড়াই করতে না পেরে পেছনের দরজা দিয়ে বাংলার দখল নেওয়ারা ষড়যন্ত্র করছে। আর এই ষড়যন্ত্রে নির্বাচন কমিশনও লিপ্ত এমন অভিযোগ উঠে এসেছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ভিন রাজ্যের এপিক কিভাবে এরাজ্যে মিলে যায় সেই প্রশ্ন তোলা হয়। প্রথমে কমিশনের তরফে বলা হয়েছিল এমনটা হতেই পারে, রাজ্য আলাদা। তবে শেষ পর্যন্ত ভুল স্বীকার করে নিয়েছে কমিশন। দ্রুত ভুল সংশোধনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
আগামী তিন মাসের মধ্যে ইউনিক এপিক রাখার কথা বলা হয়েছে। এই লড়াই ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সাম্প্রতিককালে দিল্লি, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রে এক বছরের কম সময়ের মধ্যে লক্ষ লক্ষ ভোটারের নাম কিভাবে সংযুক্ত হয় ভোটার তালিকায় সেই প্রশ্ন উঠেছিল। তিন রাজ্য দখল করে বিজেপি। ভুয়ো ভোটারের হাত ধরে এই তিন রাজ্য বিজেপি দখল করেছে এমন অভিযোগ ওঠে বিরোধীদের তরফে। এরকম এক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগে মান্যতা দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। স্বচ্ছ ভোটার তালিকা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার জয় পেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।