কর্মব্যস্ত বাংলার স্বীকৃতি কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানে
Central statistics recognize busy Bengal

Truth Of Bengal: বাংলা আবারও দেশের সেরা ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পে। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যানে এই তথ্য উঠে এসেছে। সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় এই তথ্য দিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘খুবই আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, ভারতের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান দফতরের সাম্প্রতিক বার্ষিক সমীক্ষায় আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে (এমএসএমই) পশ্চিমবঙ্গ দেশের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। পাশাপাশি, এই ক্ষেত্রে বাংলার মহিলাদের অসাধারণ অবদানও উঠে এসেছে।’
Happy to share that the recently published findings of the “Annual Survey of Unincorporated Sector Enterprises” conducted by the National Statistics Office, Government of India, once again establish Bengal’s top position in (MSME) manufacturing industries and, simultaneously, our…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) March 10, 2025
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নারীদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে নানা কর্মোদ্যোগ নিয়েছেন। মহিলাদের এগিয়ে নিয়ে আসার জন্য সচেষ্ট তিনি। সরকার পরিচালিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি মূলত মহিলা নির্ভর। যার মধ্যে দিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সুযোগ পান গ্রামবাংলার নারীরাও। অসংগঠিত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে এখন মহিলাদের যোগদান দেখার মতো। রাজ্য সরকার বরাবরই নারীদের স্বনির্ভর করতে একগুচ্ছ প্রকল্প নিয়েছে। ২০২৫-২৬ বাজেটে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পে বরাদ্দ করা হয় ১,২২৮.৭৮ কোটি টাকা।
জোর দেওয়া হয়, সরকার পরিচালিত মহিলা নির্ভর স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার। অসংগঠিত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে নারীশক্তির সূর্যোদয় আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সূচনা করছে বলা যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে রাজ্যের এই অগ্রগতি প্রশংসনীয়। এবার তা স্বীকার করা হয়েছে কেন্দ্রের সমীক্ষায়। শিল্পের চাহিদা মেনে কারিগরি প্রশিক্ষণের কাজ দ্রুত এগোচ্ছে বঙ্গে। এমএসএমই এবং তাদের শিল্পতালুকগুলিতেও তা বাড়ানো হচ্ছে। তারই প্রতিফলন বাস্তবে দেখা যাচ্ছে।
ইতিবাচক ভূমিকা নিয়েছে লগ্নি ও বাণিজ্যের পথ প্রশস্ত করতে ব্যবসার পরিবেশ আরও সহজ করার পদক্ষেপগুলিও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকার চান আরও বেশি মানুষ কর্ম সংস্থানের দিশা পাক। নিজেদের প্রয়োজনে যত লোক দরকার, তা কলকারখানাগুলি এখান থেকেই পেয়ে যায়। সেই জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণে জোর দেওয়া হয়েছে বেশি করে। যার সফল মিলছে। সেই সঙ্গে মহিলারাও যুক্ত হচ্ছে নানা কাজে। সব মিলিয়ে কর্মব্যস্ত বাংলার স্বীকৃতি উঠে এল কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানে।