নেতিবাচক প্রচারে সাড়া নয়, ঐতিহ্য মেনেই হল দুর্গাপুজো
Durga Puja is not a response to negative publicity, but a tradition

Truth of Bengal: শেষ হল বাঙালির সব চেয়ে বড় উৎসব। কলকাতা থেকে জেলা—সর্বত্রই উৎসবের মেজাজে মানুষ আনন্দ উপভোগ করে পুজোর দিনগুলিতে। আবহাওয়াও ছিল অনুকূলে। ফলে পুজোর দিনগুলিতে সকাল থেকে রাত– পথে নামে উৎসবমুখর মানুষ। অথচ এই উৎসব নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব সৃষ্টি করা হয়েছিল কোনও কোনও মহল থেকে।
আরজি করের আবহে মানুষ যাতে উৎসব থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, সেই প্রচার চালানো হয়েছিল। তবে আরজি করের বিচারের দাবি ও প্রতিবাদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন থাকলেও সাধারণ মানুষ উৎসবকে দূরে সরিয়ে রাখেনি। স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে শামিল হয় উৎসবে। উৎসব নিয়ে যে নেতিবাচক প্রচার চলেছিল, তাতে সাড়া দেয়নি সাধারণ মানুষ।
পুজোর দিনগুলিতে রাস্তাঘাটে, পুজো প্যান্ডেলে যে ভাবে মানুষের ঢল নামে, তাতে দেখে যায় উৎসবে কোনও বিরূপ প্রভাব পড়েনি। পঞ্চমী, ষষ্ঠী ও সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে পথে নামা জনজোয়ার বুঝিয়ে দেয় একবছরের অপেক্ষা কেন থাকে। পুজোর আনন্দে শামিল তাই পথে নামে আট থেকে আশি। কলকাতা উত্তরের সঙ্গে পাল্লা দেয় দক্ষিণ। কয়েকটা দিন বাপের বাড়ি কাটিয়ে ফিরে গিয়েছেন উমা।
তবে এবছর কৈলাসে ফেরায় যেন একটু তাড়া ছিল। উমা ফিরে গেলেও রয়ে গিয়েছে উৎসবের রেশ। সেই উৎসবের অঙ্গ হিসেবে সোমবার জেলায় জেলায় হবে কার্নিভ্যাল। তারপর মঙ্গলবার কলকাতায় হবে মহা কার্নিভ্যাল। এমনিতেই বাংলার দুর্গাপুজো এখন বিশ্বজনীন হয়ে গিয়েছে। সেই উৎসব পেয়েছে হেরিটেজ স্বীকৃতি। ফলে এখন গোটা বিশ্বের নজর কাড়ছে বাংলার সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো।
কলকাতায় হতে চলা দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যালে শামিল হন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ। আসেন ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা। তাঁদের সামনে তুলে ধরা হয় বাংলার দুর্গাপুজোর বিশ্বজনীন আবেদন। বিদেশের মানুষ দেখে যান, দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে কয়েকটা দিন কেমন উৎসব হয় এই বাংলায়। সেই উৎসব নিয়ে এবছর নেতিবাচক প্রচার চলেছিল। তাতে একেবারেই সাড়া দেয়নি সাধারণ মানুষ। রীতি, পরম্পরা ও ঐতিহ্য মেনে অন্য বারের মতো এবছরও পালিত হল বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজো।