সুপ্রিম নির্দেশ অবমাননা, কর্মবিরতিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা
Junior doctors adamant on strike

Truth Of Bengal : সুপ্রিম কোর্ট চিকিৎসা পরিষেবার কাজে ফেরার নির্দেশে দেওয়ার পরেই আবার আন্দোলন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিল আরজি-কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন। সোমবার বিকেলে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারেরা তাঁদের নতুন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিলেন। এই দাবিপূরণের জন্য, আজ করুণাময়ী থেকে স্বাস্থ্য ভবন পর্যন্ত অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন তাঁরা। সেইমত আজ চলছিল চিকিৎসকদের প্রতিবাদ কর্মসূচি।
সুপ্রিম নির্দেশের পরেও কর্মবিরতিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা pic.twitter.com/AtdLi5WQff
— TOB DIGITAL (@DigitalTob) September 10, 2024
গত ৯ অগস্ট আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর থেকেই আন্দোলন শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। বিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন তাঁরা। আরজি করের সামনে চলছে অবস্থানও। রাজ্য সরকারের তরফে বার বার তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানালেও জুনিয়র ডাক্তারেরা কাজে ফেরেননি। এই আবহে সোমবারের শুনানিতে সেই প্রসঙ্গ উঠলে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানায়, অবিলম্বে কাজে যোগ দিতে হবে চিকিৎসকদের। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে ফিরতে হবে তাঁদের। না ফিরলে রাজ্যের কোনও পদক্ষেপে বাধা দেবে না শীর্ষ আদালত।
RG Kar: Agitating junior doctors defy Supreme Court directive to join duty by 5 PM, continue with ‘cease work’ till demands are met
— Press Trust of India (@PTI_News) September 10, 2024
যে পাঁচ দফা দাবির কথা তাঁরা তুলেছিলেন, সেগুলি হল—
১) আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সমস্ত দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করা, অপরাধের উদ্দেশ্য সামনে আনা এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
২) তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচার।
৩) সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে ‘ব্যর্থ প্রমাণিত’ কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলের ইস্তফা।
৪) রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা।
৫) রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভয়মুক্ত পরিবেশ গড়া এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ সুনিশ্চিত করা।
এর আগে পুলিশ কমিশনারের ইস্তফা-সহ বিভিন্ন দাবিতে লালবাজার অভিযান করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। এই সমস্ত দাবি না মানলে তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবে না। সেই মতই এখনও চিকিৎসকদের কর্মবিরতি বহাল রয়েছে। এরপর রাজ্য কী সিদ্ধান্ত নেয় সেই দিকেই নজর সকলের।