
Truth Of Bengal, Mou Basu : গণপতি, গণেশ হলেন জনগণের দেবতা। মহাভারতের কাহিনি অনুসারে গণেশ বিশাল জ্ঞানী। দ্রুত লিখতে পারতেন। ব্রহ্মার সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যাসদেব গণেশকে মহাভারত লিখতে আমন্ত্রণ জানান। পুরাণ মতে, ব্যাসদেব গণেশের পুজো করে বলেন, ‘হে গণনায়ক আপনি আমার কথিত ও মনে মনে চিন্তিত মহাভারতের লেখক হন।’ একথা শুনে গণেশ বলেন, ‘লিখতে লিখতে আমার লেখনী বন্ধ না হয়ে গেলে আমি লেখক হব।’ পুরাণে গণেশকে সিদ্ধিদাতা ও বিঘ্ননাশক বলা হয়েছে। যে কোনো দেব-দেবীর আগে গণেশের পুজো করতে হয়। হালখাতার সময় মালক্ষ্মীর সঙ্গে গণেশ ঠাকুরেরও পুজো করা হয়। অনেক পুরাণে আবার বলা হয়েছে শৈবদের শিবের রুদ্র রূপের পরিবর্তিত রূপই হলেন গণেশ। বিভিন্ন পুরাণে আলাদা আলাদা ভাবে বর্ণিত আছে গণেশের জন্মবৃত্তান্ত।
কিন্তু এত বিশালাকারের দেবতা গণেশের ওইটুকু ছোট্ট আকারের ইঁদুর কেন বাহন তা নিয়ে নানা মুনির নানা মত রয়েছে। ইঁদুরকে জনগণের শক্তি বা জনতার প্রতীক হিসাবে দেখা হয়। গণেশকে নেতা বলে মনে করা হয়। ইঁদুরের মাধ্যমে আসলে গণেশ ঠাকুর আমাদের বোঝাতে চান যে কাম, ক্রোধ, মোহর মতো ষড়রিপু আমাদের মনকে গ্রাসকে আকর্ষণ করলে শুভফল নষ্ট হয়ে যাবে। সিদ্ধিলাভ হবে না। তাই মানুষের মনে সতর্কতা বোধ জাগাতেই বিঘ্ননাশক গণেশের বাহন মুষিক বা ইঁদুর।