
Truth of Bengal: অনেকেই ভাবেন উত্তরবঙ্গে যদি নিজের একটা বাড়ি থাকতো তাহলে মন্দ হতনা। ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে পছন্দের জায়গা সবসময় পাহাড়। আর এবার আপনাদের নিয়ে যাব কালিম্পঙের এক ছোট্ট গ্রামে। যেখানে গেলে প্রকৃতির মায়াবী পরিবেশ দেখে আপনি মুগ্ধ হবেন। যাদের পাহাড় পছন্দ তাঁরা গ্রীষ্ম হোক বা বর্ষা, শরৎ,হেমন্ত, বসন্ত এমনকি শীত কালেও পাহাড়ে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়েন। আর কয়েকদিন এর অপেক্ষা, মায়ের মর্তে আসার সময় প্রায় হয়ে গেছে বললেই চলে।
আর এই মরশুমে পাহাড় প্রেমীদের জন্য রইল নতুন এক ঠিকানা। শুনবেন সেই অজানা অচেনা পাহাড়ি গন্তব্যের নাম? কালিম্পঙের এক ছোট্ট গ্রাম হল বেনদা। পাহাড় মানেই সেখানে রং বেরঙের ফুলের বাহার। কটেজের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে পাহাড়ি ঝোড়া, সেই শীতল পাহাড়ি ঝোড়ায় পা ডুবিয়ে রাখতে মন্দ লাগবেনা আপনার। পাহাড়ের শীতল হাওয়া গায়ে মেখে অজানা পাখিদের কলতান শোনা। ভাবলেই যেন গা টা শিহরণ দিয়ে ওঠে। সোনালী রোদের ছটায় এই পুরো পাহাড়ি উপত্যকাকেও দেখায় সোনালী রঙের।
মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার পর দুই পাহাড়ের চূড়ার মাঝ খান দিয়ে সাতরঙা রামধনুর আভা দেখা যায়। সারাদিন পাহাড়ি অলিগলি রাস্তা ধরে ঘুরে নিয়ে সন্ধ্যা বেলায় কটেজে ফিরে আসা। এসে কটেজের বাইরে বসে আগুন ধরিয়ে জমিয়ে আড্ডা দেওয়া। হাতে গরম গরম মোমোর প্লেট নিয়ে ভুতের গল্প শোনা। সকাল হলেই হোমস্টের বারান্দায় দাঁড়িয়ে দূরের দিকে তাকিয়ে হাতে চায়ের কাপ নিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ শোভা উপভোগ করা যায়। কেবল কাঞ্চনজঙ্ঘা নয়, দূরের সিকিমের পাহাড়ের সাথেও আলাপ হবে আপনার।
এই পাহাড়ি উপত্যকায় ঘুরতে গিয়ে যে স্মৃতি টুকু আপনি সঙ্গে করে নিয়ে আসবেন তা সারাজীবন মনের এক কোটরে রেখে দেবেন। এই ছোট পাহাড়ি গ্রামের চারপাশে হয়ে থাকে নানা চাষাবাদ। ভাবছেন কিভাবে পৌঁছতে পারবেন এখানে? হাওড়া বা শিয়ালদাগামী ট্রেনে করে পৌঁছে যেতে হবে এনজেপি। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে কালিম্পং ও আরও একটি গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যাওয়া যায় বেনদায়।