রাজ্যের খবর

লাফ চাষে বাড়ছে লাফিয়ে আয়,নগদলাভে ভরছে চাষির পকেট

leap farming, the income is increasing by leaps and bounds, the farmer's pocket is full of cash profit

Truth of Bengal: প্রতি মাসে দেড় কোটি টাকার লাফা রফতানি করা হচ্ছে বিদেশে। চিরাচরিত চাষের বদলে এই বিকল্প চাষে ঝুঁকছে হুগলির কৃষকরা। পান্ডুয়া, পোলবা, ধনেখালিতে এই লাফা চাষের বাড়তি উদ্যম দেখা যাচ্ছে। ধান-আলুর বদলে এই লাফা চাষ করে কৃষকদের আয় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

বাজার অর্থনীতির যুগে বাজার ধরার চেষ্টায় রয়েছে কৃষকরা। প্রথাগত চাষের বদলে নিত্য নতুন পদ্ধতিতে চাষ করে কামাল করে দিচ্ছেন বাংলার কৃষকরা। আর বিকল্প ভাবনা নিয়ে হুগলির কৃষকরা চাষ করছেন লাফা। উল্লেখ্য, হুগলি মূলত কৃষি প্রধান এলাকা। চাষবাসই মূল জীবিকা এই জেলার। গতানুগতিক চাষ ছেড়ে বিকল্প চাষের দিকে ঝুঁকছেন বাংলার চাষীরা।

রাসায়নিক সারের বদলে জৈব সার দিয়েই চাষ করছে জেলার অনেক চাষী। হুগলির পান্ডুয়া, পোলবা, ধনিয়াখালির বিস্তীর্ণ জমিতে চাষ হচ্ছে লাফা। গত কয়েক বছরে বিদেশের বাজারে যার চাহিদা বেড়েছে দ্বিগুণ। লন্ডন ,দুবাই, কাতার সহ বিভিন্ন বিদেশের বাজারে যাচ্ছে বাংলার এই সবজি।

লাফার যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন কলকাতার এক্সপোর্টরা। ফেব্রুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় সারা বছর চাষ করা যায় এই ফসলের। শীতকালের আগে থেকেই এর ফলন বাড়তে থাকে। পান্ডুয়ার রামেশ্বরপুরের রয়েছে ফার্মার প্রডিউসার কোম্পানি। তারা ধনিয়াখালি, পান্ডুয়া, রামেশ্বরপুর এলাকার কয়েকশো কৃষককে দিয়ে লাফা চাষ করাচ্ছেন।

তার ফলে চাষীদের চাষের উৎপাদিত ফসল তারা বিদেশের বাজারে লাফা এক্সপোর্ট করছে। এতে চাষিরা লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছে। সরাসরি চাষীদের কাছ থেকে কিনে হিমঘরে রাখতে হয় এই লাফা। ১৩ কিলো সাতশ করে এক একটি বাক্সর মধ্যে ভরা হয়। তিন থেকে চার ঘণ্টা ঠান্ডা হওয়ার পর এক্সপোর্টারদের মাধ্যমে এয়ারপোর্টে পাঠানো হয়।

Related Articles