রাজ্যের খবর

হাসপাতালের নিরাপত্তার কড়া নজর, সিসিটিভিতে মোড়া হাসপাতালের চত্বর

The hospital premises are covered by hospital security CCTV

Truth of Bengal: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিত্সকের নির্যাতনও মৃত্যুর পর সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। প্রাক্তন সেনা কর্মী ও পুলিশ কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। যার জন্য বাইরের মানুষদের আনাগোনায় বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। চেকিং করেই সবাইকে হাসপাতাল চত্বরে ঢুকতে হচ্ছে। এবার হুগলির ইমামবাড়া  হাসপাতালেও বাড়ল নিরাপত্তা।

হাসপাতালের মতো সংবেদনশীল জায়গায় বহিরাগতদের আনাগোনা নিয়ন্ত্রণ করতে এগিয়ে এসেছে প্রশাসন।বিশেষ করে আরজি করের মতো অপ্রীতিকর ঘটনা সামনে আসায় রাজ্যের প্রায় সব হাসপাতালেই পুলিশি নিরাপত্তা কয়েকগুণ বেড়েছে। যারজন্য প্রাক্তন সেনা কর্মী থেকে পুলিশের দক্ষ আধিকারিকদের নজরদারির মূল কাজে লাগানো হচ্ছে।যার মূল লক্ষ্য, চিকিত্সক,নার্সের মতোই  রোগীদের নিরাপত্তায় কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

এরমধ্যে,হুগলির ইমামবাড়া হাসপাতালের নিরাপত্তা কয়েক গুণ বাড়ানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে ক্যাম্পে পুলিশের সংখ্যা,বাড়ানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। যাতে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার বেষ্টনিতে মোড়া থাকে চিকিত্সার প্রাণকেন্দ্র। প্রশাসনিক স্তরে সমন্বয় গড়ে এই প্রযুক্তির সাহায্যে অন্যান্য জেলা হাসপাতালের মতোই এই হাসপাতালেও  নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,ইমামবাড়া হাসপাতালে নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পে পুলিশ বাড়ানো হয়েছে।বর্তমানে চল্লিশটি সিসি ক্যামেরা রয়েছে হাসপাতালে। আমরা হাসপাতাল করে দিতে চাইছি। সে কারণে স্বাস্থ্য ভবনে জানানো হয়েছে আরও ৪০টি সিসি ক্যামেরা লাগবে। পুলিশ ছাড়াও হাসপাতালে নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা রয়েছে তারা পাহারা দেয়।পরিকাঠামোর জন্য আর যা প্রয়োজন তা রোগী কল্যাণ সমিতির মিটিংয়ে জানানো হবে।

আন্দোলনকারী চিকিত্সক ও নার্সরা নিরাপত্তা বৃদ্ধির ঘটনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।তাঁরা বলছেন,আগের তুলনায় নিরাপত্তার বহর বেড়েছে। ইমামবাড়া হাসপাতাল ক্যাম্পাসের মধ্যেই রয়েছে নার্সিং ট্রেনিং স্কুল হোস্টেল।সেখানেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জেলায় জেলায় হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশের সংখ্যা বাড়ার মতোই নিখুঁত চেকিংও চলছে,যাতে বহিরাগতদের আনাগোনা রোধ করা যায়।

Related Articles