Uncategorized

বৃষ্টিতে বাঁকুড়ার অচেনা জলাধার গাংদুয়া, দুদিনে কি ভাবে ঘুরবেন জেনেনিন

Gangdua, the unknown reservoir of Bankura

The Truth of Bengal: শহরজুড়ে গ্রীষ্মের দাবদাহ। উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢোকার ফলে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হলেও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢোকা এখনও কিছুদিন বাকি বলেই পূর্বাভাস,আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। বর্ষা কালে চারদিক যেন আরও সবুজ হয়ে ওঠে। এই বর্ষাতে জলাধার গুলো ফুলে ফেঁপে ওঠে। জলাধারগুলি দেখে ভয় লাগলেও আদতে দেখতে অপূর্বই লাগে। চেনা পরিচিত কিছু জলাধার মাইথন, পাঞ্চেত, ম্যাসাঞ্জোর, বড়ন্তিতে পর্যটকরা প্রায় গিয়েই ভিড় করেন। কিন্তু একদম অফবিট এক জলাধার হল গাংদুয়া। যা বাঁকুড়া জেলায় অবস্থিত। শালি নদীর উপর নির্মিত এই বাঁধের চারপাশ সবুজে ঘেরা। দ্রোণ দিয়ে দেখলে মনে হবে যেন কোন এক ব – দ্বীপ।

‘ব’ এর আকারে না হলেও উঁচু থেকে থেকে মনে হবে চারিদিকে চোখ জুড়ানো সবুজ গাছগাছালি আর মাঝখানে জলাধার। এই বাঁধ নির্মিত হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। এছাড়াও বিনোদনের জন্য এখানে একটি ইকোপার্ক তৈরি করা হয়েছে। পুরো নীল জলের মধ্যে পা ডুবিয়ে সূর্যাস্ত দেখা। উফ সেই অপূর্ব দৃশ্য দেখে আপনার মন ভোরে উঠবে। বর্ষার সময় এই বাঁধ দিয়ে যখন জল ছাড়ে চারপাশের প্রকৃতি আরও সুন্দর হয়ে ওঠে। এই স্পট পিকনিকের জন্য অসাধারণ। এই ড্যাম থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কোড়ো পাহাড়।

কোড়ো পাহাড়ের উপরে অবস্থিত পার্বতী দেবীর মন্দির। সেখানেও ঘুরে আসতে পারেন আপনি। শহরের এই যান্ত্রিকতা ছেড়ে একদম শান্ত নিরিবিলি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা গাংদুয়া বাঁধে আসলে আপনি দু দণ্ড শান্তি খুঁজে পাবেন এখানে। এখানে যাওয়ার জন্য আপনাকে গাড়ি করে বাঁকুড়া থেকে রানিগঞ্জ রুটে যেতে হবে। সেখান থেকে গাংদুয়ার দূরত্ব ২১ কিলোমিটার। আবার আপনি চাইলে ট্রেনে করে বাঁকুড়া স্টেশনে এসে সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করেও ঘুরে নিতে পারেন গাংদুয়া ড্যাম। তাই বর্ষা ঢুকলেই ১ দিন একটু হাওয়া বদলের জন্য ঘুরে আসতেই পারেন এই গাংদুয়া ড্যাম থেকে।

Related Articles