জলের আকালের জন্য সমস্যার মুখে হাঁস চাষ, বাণিজ্যিক দিক দিয়ে ক্ষতির আশঙ্কা
Duck farming in the face of problems due to water scarcity, there is a risk of loss in commercial terms

The Truth of Bengal: হাঁস পালন আমাদের দেশে একটি আদি এবং প্রচলিত পদ্ধতি। গ্রামের মানুষেরা শুধু ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণ ও পারিবারিক আয়ের জন্য সীমিত আকারে হাঁস পালন করে থাকে। এ দেশে বাণিজ্যিক মুরগির খামারের ন্যায় হাঁসের খামার তেমনভাবে গড়ে ওঠেনি।তাই রাজ্য সরকার সাড়ে ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে লাভপুরে হাঁস প্রতিপালনের ফার্ম তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে। এর ফলে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি ডিম বিক্রি করে আয় বাড়বে বলে আশা প্রশাসনের। প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফকর এই কর্মসংস্থানমুখী প্রকল্পের কাজ দ্রুত রূপায়ণ করতে চায়।
এদিকে, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় হাঁস প্রতিপালন চরম সমস্যার মুখে পড়ছে। কারণ একদিকের বৃষ্টির আকাল আর অন্যদিকে, নদী বা জলাশয়ে পর্যাপ্ত জল না থাকায় হাঁস চাষ কার্যতঃ মুখ থুবড়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।তাই রুটি-রুজিতে টান ধরছে নদিয়ার হাঁস প্রতিপালকদের। নদীয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় চাষাবাদ এবং পশু পালনের মধ্যে দিয়েই রুজি রুটির পথ খুঁজে নেয় মানুষ। তবে এই নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার বিভিন্ন প্রান্তে হাঁস মুরগি প্রতিপালন, করে অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করেন।
এখন জলাশয়ে জল শুকিয়ে যাওয়ায় ও বৃষ্টি না হওয়ায় হাঁসকে বাঁচিয়ে রাখা মুশকিল হচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিকূলতাকে পাশ কাটিয়ে অবশেষে হাতে গোনা কিছু হাঁস প্রতিপালন করছেন ফার্মের প্রতিপালকরা, তবে বর্তমানে হাঁসের চাহিদাও কমছে তাই মুরগি চাষের উপরই বেশি ঝোঁক তাদের। রাজ্য সরকার চাইছে,বিকল্প রুটি রুজির সংস্থান করতে প্রাণী সম্পদের বিকাশ ঘটাতে।এখন সেই প্রাণীরাই প্রতিকূল আবহাওয়ায় অস্তিত্বের সংকটে পড়ায় চিন্তায় হাঁসও মুরগি প্রতিপালকরা।