শিবরাত্রিতে বিশেষ আড়ম্বরে বর্ধমানেশ্বরের মোটা শিব বাবাকে পুজো করা হয়
Special Shiva Puja is performed on Shivaratri

The Truth of Bengal: বলা হয় শিবের ১০৮ নাম জপলে আর্শীবাদ পাওয়া যায়।আর এই ভগবান শিবের বিভিন্ন নাম মাহাত্ম্য রয়েছে। সাধারণতঃ সংস্কৃত শিব শব্দটি একটি বিশেষণ, যার অর্থ “শুভ, দয়ালু ও মহৎ”।আসলে তিনি দেবাদিদেব মহাদেব। ত্রিলোকনাথ পরমেশ। তাঁর চেয়ে শ্রেষ্ঠ কেউ নয়। বেদব্যাসের ‘বৃহৎ শিবপুরাণ’-এ রয়েছে- ‘শিব হতে শ্রেষ্ঠতর কিছুমাত্র নাই। শ্রীশিব সবার শ্রেষ্ঠ জানিবে সবাই।’ এই শিবই বঙ্গ সংস্কৃতিতে তিনি মিশে গিয়েছেন সেই কবে। ‘বৃহৎ শিবপুরাণ’ অনুযায়ী ‘কল্পে কল্পে ব্রহ্মা বিষ্ণু লভেন জনম। কল্পে কল্পে হয় সর্ব বিশ্বের সৃজন। এরূপে সবার সৃষ্টি করি মহেশ্বর। সংহার করেন পুনঃ দেবাদেব হর।’ অর্থাৎ ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরের মধ্যে প্রাচীনতম শিবই। তিনিই বাকিদের সৃষ্টি করেছেন। শিবপুরাণ তেমনই বলছে। এখন এই কলিযুগেও অল্পে সন্তুষ্ট শিবকে নানা নামে আরাধনা করা যায়। যারমধ্যে অন্যতম মোটা শিব বাবা। কথিত আছে, ১৯৭২ সালে পুকুর খোঁড়ার জন্য মাটি কাটার কাজ চলছিল। সেসময় হঠাৎই পাথরের গায়ে আঘাত লাগে। তারপর মাটি থেকে তুলে আনা হয় শিবলিঙ্গকে। সেইথেকে আলমগঞ্জের শিবসাধনার ভক্তিমার্গের কথা,বাংলা ছাড়িয়ে বিহার-উত্তরপ্রদেশেও ছড়িয়ে রয়েছে। তাই সর্বজনীন এই শান্ত সমাহিত শিবের পুজো ঘিরে এখন তোড়জোড় চলছে জোরকদমে।
ঠিক কত বছরের প্রাচীন তা নিয়ে প্রামান্য কোনও তথ্য নেই। অনেকের মতে, এই শিবলিঙ্গ কনিষ্কের সময়ে। অর্থাৎ প্রায় ১৬০০ -১৭০০ বছর আগে। কনিষ্ক নিজে এই কালো শিবলিঙ্গে নিয়মিত পুজো করতেন। পরবর্তী সময়ে বন্যায় তা দামোদরে ভেসে আসে। তবে এত ভারি শিবলিঙ্গের পক্ষে নদীতে ভেসে আসার সম্ভাবনা নিয়েও ইতিহাসবিদদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে।
মন্দিরের পিছনেই আছে দুধ পুকুর। সেখান থেকেও জল নিয়ে জল ঢালা হয়। এদিন পুণ্যার্থীদের জন্য রয়েছে ভোগ নেওয়ার ব্যবস্থাও। প্রসিদ্ধ এই বর্ধমানেশ্বর মন্দিরে যাবেন কীভাবে? বর্ধমান স্টেশনে নেমে টাউন সার্ভিস বাসে চেপে সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে বিবেকানন্দ কলেজ মোড়ে নামতে হবে। সেখান থেকে টোটো করে দুই কিলোমিটার গেলেই মিলবে আলমগঞ্জের বর্ধমানেশ্বর। কিংবা বর্ধমান স্টেশনে নেমে টোটো পাওয়া যায় বর্ধমানেশ্বর যাওয়ার ৷