সকালে ঘুম ভাঙুক সঙ্গীতের মূর্চ্ছনায়, শরীর-মনে কী প্রভাব পড়ে জানেন?
Wake up in the morning in the swoon of music

The Truth of Bengal: সঙ্গীতের সঙ্গে মানবজীবনের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। মানসিক উদ্বেগ কাটিয়ে জীবন আনন্দ ভরিয়ে দেওয়ার জন্য সঙ্গীতের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই শুনুন গান। হালকা যন্ত্র সঙ্গীতও শুনতে পারেন।
শরীর ও মনে এর কী প্রভাব পড়ে জানেন?
১) সকালে ঘুম ভাঙার সময় যদি মন খারাপ থাকে, মুড অফ থাকে তাহলে পছন্দের গান শুনুন মন খুশিতে ভরে উঠবে। কাজে একাগ্রতা ও মন সংযোগ বাড়বে।
২) সকালে ঘুম থেকে উঠে পছন্দের গান শুনলে ফিল গুড হরমোন ডোপামিন হরমোনের নিঃসরণ হয়। এতে মুড ভালো থাকে।
৩) গান শুনলে মানসিক উদ্বেগ ও অবসাদ কমে। স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের নিঃসরণ কম হয় গান শুনলে। এতে মন রিল্যাক্স হয়।
৪) গান শুনলে মন সংযোগ বাড়ে। মনের একাগ্রতা বাড়িয়ে তোলে সঙ্গীত। স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়িয়ে তোলে সঙ্গীত। ছোটখাটো ঘটনা অনেক বেশি মনে থাকে।
৫) সকালে পছন্দের গান শুনলে এনার্জি বাড়ে। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে দিন শুরু হয়।
৬) শুধু দিনে শুরুর সময় গান শোনা নয়, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গান শুনলে ঘুম ভালো হয়। শরীর ও মন রিল্যাক্স থাকে।
৭) যন্ত্রণা বিশেষ করে ক্রনিক পেইন কমাতে মিউজিক থেরাপি খুবই কার্যকরী। শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণার সময় গান শোনা অনেক বেশি কার্যকরী। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে প্রচণ্ড শারীরিক যন্ত্রণার মধ্যে থাকা কোনো ব্যক্তি যদি গান শোনেন তবে তিনি সাময়িক ভাবে তাঁর যন্ত্রণা ভুলে যান।
৮) গান শুনলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। হৃৎস্পন্দনের গতি স্বাভাবিক থাকে। হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে গান। প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় গান শুনলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। হালকা ধীর গতির গান শুনলে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
৯) ধীর গতির গান শুনলে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দনের গতি কমে। গবেষণায় দেখা গেছে, অস্ত্রোপচারের পর গান শুনলে তাড়াতাড়ি যন্ত্রণা কমে।
১০) শারীরিক কসরতের সময় গান শুনলে মন সংযোগ বাড়ে, উৎসাহব্যঞ্জক হয়।