স্বামীজির দেশে ফেরার ঐতিহাসিক মুহূর্ত, স্বামীজির স্মরণে ‘বিবেক ম্যারাথন’ বজবজে
'Vivek Marathon' in memory of Swamiji

The Truth of bengal: আমেরিকার শিকাগো শহরে সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা দিয়ে বিশ্বজয় করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। বিশ্বজয় করে জাহাজে চেপে ফিরেছিলেন দেশে। ১৮৯৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি স্বামীজির জাহাজটি তৎকালীন বজবজ পোর্ট সংলগ্ন জেটিতে দাঁড়িয়ে পড়ে। ওই দিন স্বামীজি সারা রাত জাহাজে কাটিয়ে পরদিন ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে হেঁটে বজবজ স্টেশনে আসেন। সেখান থেকে টিকিট কেটে প্রায় ২০ জন ভক্তকে নিয়ে শিয়ালদার উদ্দেশে রওনা দেন। তাঁকে বরণ করার জন্য শিয়ালদায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে স্বামীজিকে নিয়ে বিশাল শোভাযাত্রা-সহ সবাই আলমবাজার মঠে যান।
১৯৮৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে তৎকালীন বজবজ পুরসভার চেয়ারম্যান ও ইতিহাসবিদ গণেশ ঘোষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও পূর্বরেলের সহযোগিতায় এই বিশেষ ঐতিহাসিক ট্রেন যাত্রা অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। বজবজ স্বামী বিবেকানন্দ স্মারক কমিটির উদ্যোগে স্বামী লোকেশ্বরানন্দজী মহারাজ প্রথম এই ট্রেন যাত্রার সূচনা করেন। এরপর এই ট্রেন যাত্রায় চারজন রাজ্যপাল, সাংসদ, মন্ত্রী সহ বহু গণমান্য অতিথি নানা সময়ে এই ট্রেন যাত্রার অনুষ্ঠানে হাজির থেকেছেন। বতর্মানে প্রতীকী এই ট্রেন প্রতি বছরের মতো সোমবার ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯:৫৫ মিনিটে বজবজ থেকে ছাড়া হয়।
১৮৯৭ সালে ১৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বজবজ জেটিতে আসার দিনটিকে স্মরণ করতে অনুষ্ঠিত হয় ‘বিবেক ম্যারাথন’। আয়োজক বিবেক সংহতি। নতুন প্রজন্মের কাছে স্বামীজির পদধূলিধন্য ঐতিহাসিক স্থানটির মাহাত্ম্য বোঝাতে এই ম্যারাথনের আয়োজন করা হয়। ম্যারাথনের সূচনায় হাজির ছিলেন সমাজের বিশিষ্ট মানুষজন ও খেলোয়াড়রা। প্রায় ২৫০ জন কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী স্বামীজির ছবি সমৃদ্ধ টি-শার্ট, টুপি ও ব্যাচ সহকারে ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেছিল। ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে স্বামীজির মূর্তি-সহ একটি মেডেল দেওয়া হয় উপহারস্বরূপ। স্বামীজি স্পেশ্যাল ট্রেনটি ছাড়ার আগে বজবজ স্টেশনে পুরসভা ও স্বামীজি স্মারক কমিটির উদ্যোগে বিশেষ অনুষ্ঠান হয়।