রাজ্যের খবর

ডিম উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা, জেলায় নয়া পোলট্রি ফার্ম

poultry farm

The Truth of Bengal: ডিম হল প্রোটিনের পাওয়ার হাউস।সস্তার এই পুষ্টিকর খাবারে রয়েছে ১৩টি আলাদা আলাদা ভিটামিন ,খনিজ সহ নানা উপকরণ।এই স্বল্পমূল্যের ডিমে স্বনির্ভর হওয়ার জন্য বাংলার সরকার বহুমুখী পরিকল্পনা নেয়।এরমধ্যে  কেন্দ্রের প্রাণী সম্পদ মন্ত্রকের ক্ষুদ্র প্রাণী পালন সংক্রান্ত রিপোর্টে স্পষ্ট, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে   রাজ্যে ডিমের উৎপাদন ২০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। যা গোটা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই বৃদ্ধির ফলে ডিম উৎপাদনের নিরিখে রাজ্য গোটা দেশের মধ্যে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে।ডিম উত্পাদনে শীর্ষে পৌঁছানোর লক্ষ্যে নতুন পরিকল্পা নিচ্ছে রাজ্যের প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতর।

জেলায় জেলায় ডিম উত্পাদনের কাজ বাড়ানো হচ্ছে।এবার  মালদায় বছরে ৯ কোটি ২৮ লক্ষ ডিম উৎপাদন হবে। সেজন্য জেলায় প্রায় ৪০ কোটি টাকা খরচ করে  তৈরি করা হল কমার্সিয়াল পোল্ট্রি ফার্ম। আগামী মাস থেকে শুরু হবে উৎপাদন প্রক্রিয়া। মালদহের এই পোল্ট্রি ফার্মে তিন লক্ষ মুরগি রাখার ব্যবস্থা হচ্ছে। দৈনিক ডিম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে দুই লক্ষ ৭০ হাজার। ইতিমধ্যেই পোল্ট্রি ফার্ম তৈরির কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝির সময়ে প্রথম দফায় এই ফার্মে এক লক্ষ মুরগির বাচ্ছা আনা হবে। জুন মাস থেকে শুরু হবে নিয়মিত উৎপাদন।

মালদহ ছাড়াও আশেপাশের জেলা এবং রাজ্যের বিভিন্ন অংশে মালদহ পোল্ট্রি ফার্মের থেকে ডিম পৌঁছবে।পশ্চিমবঙ্গ লাইভ স্টক ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গৌরীশঙ্কর কোনার জানিয়েছেন, গত তিন বছরের মধ্যে রাজ্যে ডিমের উৎপাদন অনেকখানি বেড়েছে। রাজ্যে দৈনিক ডিমের চাহিদা রয়েছে তিন কোটি। এরমধ্যে বছর তিনেক আগে পর্যন্ত দৈনিক প্রায় এক কোটি ডিম বাইরের রাজ্য থেকে এরাজ্যে আনা হতো। বর্তমানে এই ডিমের ঘাটতি কমে দাঁড়িয়েছে দৈনিক ২৫ লক্ষ। ডিমের দৈনিক যোগান বাড়াতে মালদহের মত আরও পাঁচটি কমার্শিয়াল পোল্ট্রি ফার্ম তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের  আর্ধিকারিকরা জানিয়েছেন।

Related Articles