
The Truth of Bengal: ৩০০মিটারের ঝুলন্ত সেতু। বিদ্যাধরী নদী তীরবর্তী সবুজঘেরা এই সেতুই এখন পর্যটকদের পয়লা পছন্দের তালিকায়। মনোরম পরিবেশে সবুজ অবয়বের বুক চিরে ডানা মেলে থাকা এই ভূখণ্ড ভ্রমণপিপাসুদের ক্যানভাসে আলাদা রংয়ের ছোঁয়া দিচ্ছে।বসিরহাটের হংকং সেতু এখন পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্য স্থল হয়ে উঠেছে। প্রকৃতির পাঠশালার মাঝে অপরূপ সুন্দর এই হংকং সেতু, প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছ থেকে দরাজ প্রশংসা আদায় করছে। শীতের আমেজ গায়ে মেখে অনেকেই এই প্রান্তিক এলাকার প্রাণখোলা পরিবেশে শ্বাস নিচ্ছেন বুক ভরে। কার্যতঃ সীমান্তবর্তী এলাকা হয়ে উঠেছে বসিরহাটের ফুসফুস।
শীত পরতেই চড়ুইভাতীর টানে অনেকে ভিড় জমাচ্ছেন এই বিদ্যাধরী নদী তীরে গড়ে ওঠা হংকং পার্ক ও সবুজে ভরা উদ্যান চাক্ষুষ করতে।শীতের সময় ভি়ড় আরাও বাড়বে। খোলাপাতা পঞ্চায়েতের বিবিপুর দ্বীপ বেরিয়ায়, কুড়ি বিঘা জমির উপর রয়েছে বিশাল জলাশয়। চারিদিকে অরণ্য,রয়েছে মাটির পাহাড় আর বিভিন্ন কল কাকলি পাখির কুজন, বিভিন্ন পাহাড়ি সবুজ গাছের মেলবন্ধন,সেখানে রয়েছে ৩০ রকমের রংবেরঙের বাহারি ফুল। কি নেই সূর্যমুখী ডালিয়া, গোলাপ, নয়ন তারা, নীলকন্ঠ হরেক রকমের রং বেরঙ্গের বাহারি ফুলের দৃশ্য। আর জলাশয়ে বটিং বাড়তি পাওনা পর্যটকদের।
শীত পড়তেই কেউ নদীতীরের উদ্যান দেখতে আসছেন,কেউ আবার পিকনিক করার জন্য জায়গা ভাড়া নিচ্ছেন। সবমিলিয়ে ঘুরে বেড়ানোর অন্যতম জনপ্রিয় স্পট হয়ে উঠেছে এই হংকং সেতু। ট্রেনে শিয়ালদাহ স্টেশন থেকে হাসনাবাদ লোকাল ধরে প্রায় দেড় ঘন্টার সময়ের ব্যবধানে পৌঁছে যাবেন চাঁপাপুকুর স্টেশন। সেখান থেকে অটো কিংবা টোটোতে ২০ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছে যাবেন এই হংকং পার্ক। চাইলে পরিবার-সহ সবান্ধবে এখানে পিকনিক করতে পারেন। সব মিলিয়ে কলকাতা শহরের পাশেই ছোট্ট একটি গ্রাম্য পরিবেশে ভরা এই পার্কটির সৌন্দর্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকদের আনাগোনাও বেড়েই চলেছে৷তাতে অর্থনীতিও প্রাণবন্ত হয়ে উঠছে।