প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিস সংরক্ষণ,মূর্তি মিললে জানান প্রশাসনকে
Conservation of archaeological objects

The Truth of Bengal: প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে প্রাচীন স্থাপত্য-বৌদ্ধবিহার, মন্দির, মসজিদ, নহবতখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জমিদার প্রাসাদ অথবা প্রস্তরলিপি, তাম্রলিপি, মূদ্রা, প্রাচীন পুঁথি- বা তালপাতায় লেখা, পোড়ামাটির ফলকচিত্র, পোড়ামাটি ও পাথরের ভাস্কর্য, মৃৎপাত্র ইত্যাদি৷এইসব অতীতের সাক্ষ্যবাহী বস্তু আগলে রাখা সভ্যতার স্বার্থে প্রয়োজন।যাতে আগামী প্রজন্ম এরথেকে শিক্ষা পায়,পরিচয় পায় বা জানতে পারে।এই বিষয়ে নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ে একটি প্রদর্শনী হয়।যেখানে কাজাকিস্তানের অ্যাম্বাসাডর থেকে শুরু করে কনসাল জেনারেল ,সকলেই হাজির ছিলেন।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল এন্ড অফিশিয়াল ট্রাস্টি – বিপ্লব রায় মূলতঃ বাংলার নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মহামূল্যবান মূর্তি উদ্ধারের ওপর জোর দেন।পুলিশ প্রশাসন এবিষয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিক, বলে দাবি করেন তিনি।রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্ধার হওয়া প্রত্ন-নিদর্শন যাতে বেহাত না-হয়, সেজন্য সক্রিয় হয়েছে নবান্ন। রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে , প্রত্নতাত্ত্বিক কোনও নির্দশন কোথাও পাওয়ার গেলে রাজ্যের প্রত্নতাত্ত্বিক অধিকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এ ব্যাপারে জেলার পুলিশ প্রশাসনকেও সতর্ক করে দিতে বলা হয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা ও নদিয়া থেকে একাধিক প্রাচীন মূর্তি ও প্রত্নসামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ থানার সমজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম দেউন গ্রামে পুকুর কাটতে গিয়ে প্রাচীন যুগের বিষ্ণুমূর্তি পাওয়া যায়। মালদার গাজোলের মাঝরা অঞ্চলে পুকুর খনন করতে গিয়েও একটি প্রাচীন ভৈরবের মূর্তি পাওয়া গেছে। তাই বাংলার পরম্পরার নির্দশন বাঁচিয়ে রাখতে সরকারি স্তরে উদ্যোগ থাকলেও গণ-চেতনা দরকার,যাতে ইতিহাস আর সংস্কৃতির মেলবন্ধনের সেইসব স্মারক আগামীর সংগ্রহশালায় সুরক্ষিত থাকে।প্রশাসনিক প্রচার আর পুলিশি তত্পরতা বাড়লে কাজের কাজ হবে বলে প্রত্নতত্ববিদরা মনে করছেন।
Free Access