দেশ

বিজেপি বন্ধুদের হারানোর ডাক, বি আর এস মিমকে বিঁধছে কংগ্রেস

Telengana Congress

The Truth of Bengla: ২০১৪-য় অন্ধ্রপ্রদেশের সাবেক ১০টি জেলা ও হায়দরাবাদ শহর নিয়ে নতুন রাজ্য গঠন করা হয়।ভারতের  মানচিত্রে জায়গা পায় তেলেঙ্গানা। সেসময়  তেলেঙ্গানার জনসংখ্যা ছিল তিন কোটি ৫০ লাখ। এখন সেই তেলেঙ্গানায় ভোটার ৩.২৬ কোটি। এবার  বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন  ২,৩০০ প্রার্থী। সেরিলিঙ্গামপল্লী অঞ্চলে ভোটারের সংখ্যা সর্বাধিক, ৭.৩২ লক্ষ এবং ভদ্রাচলমে ভোটার সংখ্যা সবথেকে কম, ১.৪৯ লক্ষ।এর মধ্যে সংখ্যালঘু সংরক্ষণ নিয়ে বিতর্ক বেঁধেছে। বিজেপি সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার কথা বললেও কংগ্রেস-বিআরএস তার ঘোর বিরোধী।এরমাঝে কংগ্রেস শাসকশিবিরকে তুলোধনা করল।

প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর জোরালো অভিযোগ,,সংখ্যালঘুদের বন্ধু সেজে যাঁরা ভোট চাইছেন তাঁরা অনেকেই আসলে ধর্মনিরপেক্ষ নয়।বিজেপির সঙ্গে গোপনে বোঝাপড়া রেখেছে বিআরএস ও মিম। ভোট কাটাকাটির সুযোগ নিয়ে বিআরএস ক্ষমতায় থাকতে চায় বলে সোচ্চার কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। ১১৯সদস্যের তেলেঙ্গানায় ভোট হবে ৩০নভেম্বর। ভোটের আগে শাসকদল বিআরএসকে বিঁধতে ছাড়ছেন না কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা-নেত্রীরা। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্পষ্ট অভিযোগ,বিরোধীদের ভোট ভাগাভাগির কৌশল নিয়ে আসলে বিজেপির দোসররা রাজনীতির তরী তিরে ভেড়াতে চাইছে।ভোট বিভাজনের ফাঁদে পা না দিয়ে তেলেঙ্গানাবাসীকে কংগ্রেসের হাত শক্ত করার ডাকও দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।

এরআগে রাহুল গান্ধী সহ শীর্ষ নেতারা চন্দ্রশেখর রাওয়ের সরকারের ব্যর্থতা থেকে কেন্দ্রের বঞ্চনা সব ইস্যুতেই সোচ্চার হয়।এখন কেন্দ্র বিরোধী জিগির তুলে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাওয়া বিআরএসকে ছেড়ে প্রকৃত বিরোধী কংগ্রেসকেই বেছে নেওয়ার আবেদনও জানাচ্ছেন কংগ্রেসের স্টার ক্যাম্পেনাররা।সমীক্ষা বলছে,তেলেঙ্গানায় বিজেপি কোনও ফ্যাক্টর হবে না।কংগ্রেস আর বিআরএসের মধ্যে কড়া টক্করের সম্ভাবনা রয়েছে।এই অবস্থায় ধর্মনিরপেক্ষ শিবির বনাম মেরুকরণবাদী শিবিরের প্রচারের ধার বাড়ায় তপ্ত হচ্ছে ভারতীয় উপদ্বীপের উপকূলে থাকা এই রাজ্যের ভোটযুদ্ধের পরিস্থিতি।

Free Access

Related Articles