রাজ্যের খবর

উত্তরবঙ্গের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী কালী পুজো, আড়ম্বর নয়, ভক্তি এবং নিয়মনিষ্ঠাই এই পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য

Kalipujo 2023

The Truth of Bengal: উত্তরবঙ্গের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী কালী পুজোগুলির মধ্যে আজও উজ্জ্বল কালিয়াগঞ্জের বয়রা কালীবাড়ির পুজো। আড়ম্বর নয়, ভক্তি এবং নিয়মনিষ্ঠাই এই পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। প্রাচীনত্ব এবং দেবীর অলৌকিক মহিমার টানেই পুজোর রাতে ভিড় করেন বহু মানুষ।বিগবাজেটের পুজোর সঙ্গে রীতিমতো টক্কর দেয় এই শ্যামা আরাধনা। বহু পুরনো এই পুজোর বয়স নিয়ে  নানা বিশ্লেষণ রয়েছে। কথিত আছে, প্রবীণ এক সাধক বয়রা গাছের নীচে প্রথম কালীপুজোর প্রচলন করেন। শোনা যায় এখানে দুটি নদী ছিল। একটির নাম রুহিতর এবং অপরটির নাম শ্রীমতি। এই দুটি নদী দিয়ে বড় বড় নৌকা করে বাণিজ্য করতে আসতো দূর দূরান্ত থেকে অনেক বণিকেরা। রুহিতর নদীটি এখন মজে গিয়েছে ও শ্রীমতি নদীটিরও প্রায় একই অবস্থা।

এখানে বণিকেরা এসে বিশ্রাম করতেন এবং সে জায়গাটি ছিল জঙ্গলে ভর্তি।  মূলত সেই ঘরটিতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় গড়ে ওঠে দেবীর নতুন মন্দির। ১৯৯৮তে কালিয়াগঞ্জবাসী অষ্টধাতুর বিগ্রহ তৈরি করে এখানে পুজোপাঠ করেন।সেই থেকে হাজার হাজার মানুষ এই রাজনন্দিনী বয়রা কালী  র চরণতলে আশ্রয় নেন।ভক্তিভরে করজোড়ে দেবীর কাছে প্রার্থনা করেন।কালীপুজোর রাতে আর্শীবাদ মেলার আশায় হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয়।দেবীর অলৌকিক ক্ষমতার কথা লোকমুখে ছড়িয়ে পড়েছে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। বর্তমানে কালীপুজোর দিন থেকেই হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয় এই মন্দির প্রাঙ্গণে। কালিয়াগঞ্জের এই কালী পুজার অন্তরঙ্গের মিল রয়েছে।

সেই কারনে কালিয়াগঞ্জের রাজনন্দিনী বয়রা কালী দর্শন মাত্রই মানুষের মন শান্তিতে ভরে ওঠে। পুজোর দিন মন্দির কে নানা কৃত্রিম ফুল সহ নানা সামগ্রী দিয়ে সাজানো হয়। বিশেষ আকর্ষন হল মা বয়রা পা থেকে মাথা পর্যন্ত শারাশরীর স্বর্ন অলঙ্কারে সাজিয়ে তোলা হয়। মা বয়রা রাজনৈন্দিনি রুপে সেজে উঠে।  কালি পূজোর সময় মা বয়রার পূজোতে ৫ রকমের মাছ ও ৫ রকমের ভাজা ও সব্জি দিয়ে ভোগ হয়। পূজোয় কোন খামতি নেই। মা বয়রার মন্দিরকে কৃতিম ফুল দিয়ে অপূরুপ সাজে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। গোটা মন্দির এলাকা জুরে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Free Access

Related Articles