
The Truth of Bengal: দেখে আপনার মনে হতেই পারে লিচু। কিন্তু আসলে তা নয়।রসালো, মিষ্টি স্বাদে ভরপুর এই ফলের নাম কী জানেন।এই ফলের নাম রাম্বুটান। লিচু ফলের শরীর বা চামড়া কাঁটা বিশিষ্ট হলেও এই রাম্বুটান ফলের গায়ে দাড়ির মতো অংশ রয়েছে। ফলটি দেখতে সাদা, স্বচ্ছ ও অম্লীয় মিষ্টি গন্ধযুক্ত। এর শাঁসই হলো ফলের ভক্ষনযোগ্য অংশ। মূলতঃ চাষ হয় ফিলিপাইন,মালেশিয়ার মতো দেশে। এখন এই বিদেশী ফলই দিব্যি চাষ হচ্ছে উত্তরবঙ্গে।রাম্বুটান চাষের জন্য জৈবপদার্থ সমৃদ্ধ বেলে দো-আঁশ মাটি খুবই উপযোগী।
তবে এঁটেল-দো-আঁশ মাটিতেও রামবুটান ফল চাষ করা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন,এশীয় দেশগুলোতে রাম্বুটান ফল ২২-৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার জলবায়ুতে খুবই ভালো জন্মে। আবার কিছুটা ঠাণ্ডা অঞ্চল বা ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের তাপমাত্রার জলবায়ুতেও রামবুটানের ফলন ভালো হয়। এছাড়াও যেসব এলাকায় অন্যান্য এলাকার তুলনায় খুব বেশি বৃষ্টিপাত হয় সেসব জায়গায় রাম্বুটান ভালো জন্মে। আর যদি রামবুটান চাষের জায়গা যদি উষ্ণ হয় সেক্ষেত্রে রামবুটান গাছের গোড়ায় এবং রামবুটান চাষের জমিতে অধিক সেচ দিতে হবে।এখন এই বিদেশী ফলই ফলছে এই রাজ্যের মাটিতে। চাষ করছেন কৃষক সমীর দত্ত। তাহলে কোচবিহারের তুফানগঞ্জে এই চাষ করার ভাবনা কিকরে এল? কেন এই ফলকে বেছে নিলেন কৃষক?
এ বিষয়ে সমীর দত্ত জানান চিলাখানা ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের শিকারপুর এলাকায় তিনি তার জমিতে দশটি রাম্বুটান ফলের গাছ লাগিয়েছেন। এরমধ্যে দুটো গাছে রাম্বুটান ফল ধরেছে,। এই ফল রাত কানা রোগ সহ বহু রোগের জন্য খুব উপকারী। এই ফলে ভিটামিন এ, সি সহ একাধিক ভিটামিন থাকে। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য ফল টি খুব উপকারী। উত্তরবঙ্গের বাজারে ফলটি খুব কম পাওয়া যায়। বাইরের দেশ গুলোর বাজারে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কিলোগ্রাম দরে এই ফল বিক্রি হয়। গাছটি স্যাপিনডাসি পরিবারের অন্তর্গত একটি মাঝারি বৃক্ষ জাতীয় গাছ। ফলের বীজ ও কলম থেকে চারা গাছ তৈরি করা যায়। এখন আরও কিছু চারা গাছ তৈরি করে বাণিজ্যিক ভাবে চাষ করতে চাইছেন এই কৃষক।উত্তরবঙ্গের অন্যান্য চাষীরাও এই ফলচাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।