
The Truth of Bengal: কলকাতার মতোই জেলাতেও শিল্পের প্রসার ঘটানোর ভবনা নেয় রাজ্য সরকার।মূল লক্ষ্য, শিল্পের জোয়ার এনে কর্মসংস্থানের বুনিয়াদ গড়া।তাই রাজ্যে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই রঘুনাথপুরে ‘শিল্পনগরী’ তৈরির ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরুলিয়ায় এলেই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে নিয়মিত উঠে আসে রঘুনাথপুরের শিল্পায়ন ও শিল্পনগরী তৈরির কথা। বিধানসভায় তিনি ঘোষণা করেন,
বর্ধমান-দুর্গাপুর হয়ে আসানসোল এবং বড়জোড়া-বাঁকুড়া-রঘুনাথপুর পর্যন্ত যে বিশেষ শিল্প করিডর তৈরি হচ্ছে, তাতে রাজ্যের এই শিল্পনগরীতে অর্ন্তভূক্ত হবে ১০টির ওপর শিল্প। রঘুনাথপুরে ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে শিল্প নগরী, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পালনে খুশি এলাকাবাসী।কারণ এই শিল্পায়নের মাধ্যমে রোজগারের ঝাঁপি খুলে যাবে। ব্যবসাদার থেকে দোকানদার সকলেই হাতে নগদের জোগান বাড়ায় যারপরনায় খুশি।
রঘুনাথপুর মহকুমা এলাকায় নিতুরিয়া ব্লকে বর্তমানে সাতটি কারখানা রয়েছে। কতকগুলি আগে গড়ে উঠেছে, কিছু কারখানার কাজ চলছে, রঘুনাথপুরের পুরুলিয়া বরাকর রাজ্য সড়কের পাশে বড় বেসরকারি কোম্পানির স্টিল কারখানা গড়ে উঠছে, এছাড়াও সাঁতুড়ি ব্লকে তিনটি ইতিপূর্বে গড়ে উঠেছে।আগামীদিনে বহমুখী উত্পাদনশীল শিল্প সমাহার জঙ্গলমহল থেকে রাঢ়বঙ্গের মানুষের আর্থ-সামাজিক বদলের ইতিহাস নিশ্চিত করবে বলে আশায় অনেকেই।