
The Truth of Bengal: বাংলার রাজনীতিতে তিনি বরাবরই বেফাঁস মন্তব্যে বিতর্ক বাঁধান। দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের বারবার সেন্সরশিপের নির্দেশনামা বা দলীয় শৃঙ্খলার পরোয়া না করেই তিনি বেমালুম বলে দেন, সুকান্ত মজুমদার অনভিজ্ঞ। আবার প্রবীণ বিজেপি নেতাও প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়কে ট্যুইট সর্বস্ব নেতা বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়েন না। দল হোক, দলের বাইরে তাঁর বিতর্কের জুড়ি মেলা ভার।
দলকে চাঙ্গা করতে কর্মীদের কখনও লাঠি বাঁশ তুলে নেওয়ার নিদান দেন,কখনও আবার গেরুয়া বাহিনীকে প্রতিরোধের হুঙ্কার গলায়। কমিশনের তথ্য বলছে, ৩০ জনের কাছে মারা গেছে,যাঁর মধ্যে তৃণমূলের প্রায় অর্ধেক রয়েছে। তথ্যের ধার না ধেরে সোজা এই পরিসংখ্যানকে অস্বীকার করলেন দিলীপ ঘোষ। পঞ্চায়েতের গণনার দিনেই তাঁর বক্তব্য, তৃণমূলর কোনও লোক মারা যায়নি,মারা গেছে বিজেপির লোক।
এ কথা শুনে তৃণমূল বলছে,কী কথা শুনি মন্থরার মুখে। যেখানে সবচেয়ে তৃণমূলের লোক মারা গেছে সেখানে কেন এই মিথ্যাচার? কেন বলা হচ্ছে, তৃণমূলের কোনও লোক কেউ মারা যায়নি। মারা গেছে গুন্ডারা। মানুষ প্রতিরোধ করেছে বলে ওদের বডি পড়ে গেছে। আগামি দিনেও মৃত্যু হবে এবং সেটাও একতরফা হবে না’। গণনার দিনে এই হুঁশিয়ারিতে অশনি সংকেত দেখছে রাজ্যের শান্তিকামী মানুষ। তৃণমূল কংগ্রেসও হানাহানির মাঝে উস্কানির চরম সমালোচনা করছে। তাঁদের অভিমত, লাঠির জোর ছেড়ে বিজেপি বরং এবার মানুষকে জোর দিক।