দেশ

বিহার ভোটে ভরাডুবি, ময়নাতদন্ত করতে বৈঠক রাহুল -খাড়গের

উল্লেখ্য, ১৭ অগস্ট থেকে প্রায় ১,৩০০ কিলোমিটার পথ হাঁটে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ করেছিলেন রাহুল গান্ধি।

Truth Of Bengal: বিহার  বিধানসভা নির্বাচনে হল না পরিবর্তন। নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র উপরই আস্থা রাখল বিহারবাসী। মহাগঠবন্ধনের ভরাডুবির পর কংগ্রেসের অন্দরে শুরু হয়েছে আলোচনা। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর শনিবার সকালে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাসভবনে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যোগ দেন রাহুল গান্ধি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল, কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেন এবং বিহারের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কৃষ্ণ আল্লাভারু।অন্যদিকে নির্বাচনে ভরাডুবির পর শুক্রবার রাতেই এক্স হ্যান্ডলে রাহুল লেখেন,’ বিহারে যারা আমাদের ভোট দিয়েছেন তাঁদের ধন্যবাদ। এই নির্বাচন শুরু থেকেই সুষ্ঠু হয়নি বলেই আমরা জিততে পারিনি। গণতন্ত্র ও সংবিধান বাঁচানোর এই লড়াই আরও জোরদার করব।‘ রাহুলের অভিযোগ—‘ভোট চুরি’ এবং সামাজিক ন্যায়ের ইস্যুতে প্রচারের বিস্তর ফাঁক থেকেই এই হার।

উল্লেখ্য, ১৭ অগস্ট থেকে প্রায় ১,৩০০ কিলোমিটার পথ হাঁটে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ করেছিলেন রাহুল গান্ধি। ২০টি জেলা জুড়ে ৩১টি আসন স্পর্শ করেছিল এই কর্মসূচি। কিন্তু ফলাফল বলছে—সেই ১১০টি আসনেও কংগ্রেস কার্যত শূন্য। শুধু অরারিয়া থেকে একটি আসনে জয় এসেছে।নির্বাচনের ঠিক আগে গুরুত্বপূর্ণ দুই মাস রাহুলের বিদেশে দক্ষিণ আমেরিকা সফর, প্রচারে গাফিলতি এবং সমন্বয়ের অভাবে ক্ষতের জায়গা আরও বেড়েছে—এমনই মত কংগ্রেসের অন্দরের বহু নেতার।

বিহারের ২৪৩ আসনের মধ্যে এনডিএ পেয়েছে ২০২টি। মহাগঠবন্ধনের ঝুলিতে মাত্র ৩৫টি।এর মধ্যে কংগ্রেসের আসন মাত্র ৬।২০১০ সালের পর এটি বিহারে কংগ্রেসের সবচেয়ে খারাপ ফল।২০২০ সালে তারা পেয়েছিল ১৯টি আসন, ২০১৫ সালে ২৭টি।  এই ফলাফল ঘোষণার পর খাড়গে জানান,লড়াই চলবে। যারা সাংবিধানিক সংস্থাকে ব্যবহার করে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে, তাদের বিরুদ্ধে কংগ্রেস রুখে দাঁড়াবে। ফলাফল পর্যালোচনা করে ভুল শুধরে নেওয়া হবে। তবে কেন নির্বাচনে কংগ্রেসের এই ভরাডুবি? জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যালোচনা বৈঠকে উঠে এসেছে বেশ কিছু তথ্য। সেগুলির মধ্যে রয়েছে, প্রচারে সমন্বয়ের অভাব। রাহুল ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ধারাবাহিক অনুপস্থিতি, জমির রাজনীতিতে আরজেডি-বামেদের ব্যর্থতা আর সেইসঙ্গে মেরুকরণ এবং তীব্র হিন্দুত্ব প্রচারের মোকাবিলা না করতে পারা। বিহার নির্বাচনের এই লজ্জাজনক ফলাফলে কংগ্রেস আবারও প্রমাণ করেছে—ইন্ডিয়া ব্লকের মধ্যে তারা কতটা দুর্বল। এখন দেখার বিষয়—এই আত্মসমালোচনা কি সত্যিই কংগ্রেসকে ঘুরে দাঁড়ানোর পথে নিয়ে যায়, নাকি এবারও তা থেকে যাবে শুধু মিটিংয়ের চার দেওয়ালে।

Related Articles