আন্তর্জাতিকদেশ

ভারত–মার্কিন বাণিজ্যে নতুন অগ্রগতি, বরফ গলছে দুই দেশের সম্পর্কে

বাণিজ্য আলোচনাও এগোচ্ছে, আর রাশিয়ান তেল নিয়ে বাজার পরিস্থিতিও কিছুটা স্থিতিশীল।

Truth Of Bengal: দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা ও টানাপোড়েন শেষে ভারত–মার্কিন বাণিজ্য সম্পর্কের বরফ এবার গলতে শুরু করেছে। বহু প্রতীক্ষিত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ এক আধিকারিক।গত কয়েক সপ্তাহে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনাকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটনের আপত্তি খানিকটা শিথিল হওয়ায় পরিস্থিতি আরও অনুকূল হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন আধিকারিক জানান, ট্রেড চুক্তি ও রাশিয়ান তেল—দুটি সমান্তরাল ইস্যুতেই উন্নতির সম্ভাবনা স্পষ্ট।তিনি বলেন, সম্প্রতি বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে।

বাণিজ্য আলোচনাও এগোচ্ছে, আর রাশিয়ান তেল নিয়ে বাজার পরিস্থিতিও কিছুটা স্থিতিশীল। ভারত- আমেরিকার মধ্যে চুক্তি হলে বদলে যাবে বাজারে প্রবেশাধিকার ও শুল্ক কাঠামো। সম্ভাব্য ভারত–মার্কিন বাণিজ্য চুক্তির মূল উদ্দেশ্য—দুই দেশের বাজারে পণ্যের শুল্ক কমানো,বাজারে প্রবেশাধিকার বাড়ানো এবং বহুদিনের অমীমাংসিত বাণিজ্য সমস্যার সমাধান।যে বিষয়গুলি আলোচনায় রয়েছে সেগুলির মধ্যে রয়েছে  মার্কিন কৃষি ও শিল্প পণ্যে ভারতের শুল্ক নিয়ে বিরোধ। ভারতীয় পরিষেবা খাতের দক্ষ কর্মীদের জন্য মার্কিন বাজারে প্রবেশের সুযোগ বাড়ানো।

সেইসঙ্গে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আর্জেন্টিনা, এল সালভেডর, ইকুয়েডর ও গুয়াতেমালার সঙ্গে প্রাথমিক বাণিজ্য সমঝোতা সম্পন্ন হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে যেসব পণ্য উৎপাদিত হয় না, সেসব আমদানিতে শুল্ক ছাড়ই এই চুক্তির মূল লক্ষ্য। মার্কিন প্রশাসনের মতে, এটি বৃহৎ বহুপাক্ষিক ফ্রেমওয়ার্ক থেকে সরে এসে টার্গেটেড দ্বিপাক্ষিক চুক্তির দিকে ওয়াশিংটনের কৌশলগত ঝোঁক। পাশাপাশি ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ও সুইজারল্যান্ডের সঙ্গেও চলছে গঠনমূলক আলোচনা।ভারতে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সের্জিও গর। শপথ অনুষ্ঠানে ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, ভারতীয় আমদানিতে শুল্ক ছাড়ের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে এবং বড় ধরনের অগ্রগতি খুব কাছেই।ট্রাম্প বলেন, আমরা এমন কিছুতে পৌঁছতে চলেছি, যা সত্যিই বড় পরিবর্তন আনবে।